বুধবার

রেখা, রশ্মি ও রেখাংশের মধ্যে পার্থক্য

রেখা, রশ্মি এবং রেখাংশের মধ্যে সকল পার্থক্য


  • রেখা, রশ্মি ও রেখাংশের পার্থক্য
  • রেখা ও রশ্মির মধ্যে পার্থক্য
  • রেখা ও রেখাংশের মধ্যে পার্থক্য
  • রশ্মি ও রেখাংশের মধ্যে পার্থক্য

রেখা রশ্মি ও রেখাংশের মধ্যে পার্থক্য, রেখা ও রশ্মির মধ্যে পার্থক্য, রেখা ও রেখাংশের মধ্যে পার্থক্য, রশ্মি ও রেখাংশের মধ্যে পার্থক্য, সকল পার্থক্য
রেখা, রাশ্মি ও রেখাংশের মধ্যে পার্থক্য




ভূমিকাঃ

জ্যামিতিতে সম্পাদ্য ও উপপাদ্যে চিত্রাংকন ও বিবরন প্রদানে আমরা প্রায়ি গুলিয়ে ফেলি যে কোনটি কে রেখা বলবো বা কোনটি কে রশ্মি বলবো বা কোনটি কে রেখাংশ বলবো। রেখা, রশ্মি ও রেখাংশের মধ্যে পার্থক্য বা Difference কি। রেখা, রশ্মি ও রেখাংশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার মাধ্যমে আমরা এ সকল সমস্যার সমাধান করতে পারি। আমাদের আজকের আলোচনা রেখা, রশ্মি এবং রেখাংশের মধ্যে পার্থক্য।



রেখা, রশ্মি ও রেখাংশ কিঃ

রেখা, রশ্মি এবং রেখাংশের মধ্যে পার্থক্য করার আগে রেখা, রশ্মি এবং রেখাংশ কি বা কাকে বলে এবং এদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিৎ। বিন্দুর চলার পথ কে রেখা বলে। যে রেখা সোজা পথে চলে তাকে রেখা বা সরলরেখা বলে। রেখার কোনো নির্দিষ্ট শুরু বা শেষ নেই। অপর দিকে যে রেখার শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই তাকে রশ্মি বলে। আর কোনো রেখা থেকে অথবা রশ্মি থেকে কেটে নেওয়া কোনো অংশ কে রেখাংশ বলে। রেখা, রশ্মি এবং রেখাংশ সম্পর্কে বুঝতে সমস্যা হলে বিস্তারিত জানতে নিচে ক্লিক করে জেনে নেওয়া যেতে পারে।



রেখা রশ্মি এবং রেখাংশ সম্পর্কে আশা করি উপরে দেওয়া লিংক গুলোতে ক্লিক করে জেনে নিয়েছি। এবার নিশ্চিৎ আমরা রেখা, রেখাংশ ও রশ্মি সম্পর্কে ও এদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। সুতারং এর পরের ধাপে আমরা রেখা, রশ্মি এবং রেখাংশের মধ্যে কিছু পার্থক্য তুলে ধরতে পারবো।



রেখা, রশ্মি ও রেখাংশের পার্থক্যঃ

রেখা থেকে রশ্মি এবং রেখাংশের উৎপত্তি হলেও এদের মাঝে অনেক পার্থক্য রয়েছে নিম্নে ছক আকারে রেখা, রশ্মি এবং রেখাংশের মধ্যে পার্থক্য সমূহ তুলে ধরা হলো-


পার্থক্য-নং

রেখা

রশ্মি

রেখাংশ

পার্থক্য-১.

রেখার শুরু ও শেষ নেই

রশ্মির শুরু আছে শেষ নেই

রেখাংশের শুরু ও শেষ উভয়ি আছে

পার্থক্য-২.

রেখার নির্দিষ্ট কোনো দৈর্ঘ্য নেই

রেখাংশের নির্দিষ্ট কোনো দৈর্ঘ্য নেই

রেখাংশের নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য আছে

পার্থক্য-৩.

রেখার উভয় প্রান্তে তীর চিহ্ন ব্যবহার করা হয়

রশ্মির এক প্রান্তে তীর চিহ্ন ব্যবহার করা হয়

রশ্মির কোনো প্রান্তে তীর চিহ্ন ব্যবহার করা হয় না

পার্থক্য-৪.

রেখার কোনো প্রান্ত বা শেষ বিন্দু নেই

রশ্মির একটি প্রান্ত বিন্দু আছে

রেখাংশের দুটি প্রান্ত বিন্দু আছে

পার্থক্য-৫.

বিন্দুর চলার পথ কে রেখা বলে

যে রেখার শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই তাকে রশ্মি বলে

রেখা বা রশ্মির কোনো নির্দিষ্ট অংশ কে রেখাংশ বলে

পার্থক্য-৬.

অনির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য বোঝাতে রেখা আকা হয়

নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে শুরু হয়ে অনির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য বোঝাতে রশ্মি আকা হয়

নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য বোঝাতে রেখাংশ আকা হয়

পার্থক্য-৭.

একটি রেখাকে দ্বিখণ্ডিত করলে দুটি রশ্মির উৎপত্তি হয়

একটি রশ্মিকে দ্বিখণ্ডিত করলে একটি রেখাংশ ও নতুন একটি রশ্মির উৎপত্তি হয়

একটি রেখাংশ কে দ্বিখণ্ডিত করলে দুটি নতুন রেখাংশের উৎপত্তি হয়

পার্থক্য-৮.

একটি রেখাকে ৩ টি খন্ড করলে ২ টি রশ্মি ও ১ টি রেখাংশের উৎপত্তি হয়

একটি রশ্মিকে ৩ টি খন্ড করলে ২ টি রেখাংশ ও ১ টি রশ্মির উৎপত্তি হয়

একটি রেখাংশ কে ৩ টি খন্ড করলে ৩ টি রেখাংশের উৎপত্তি হয়

পার্থক্য-৯.

একটি রেখা কে যতো খন্ড করা হোক না কেনো প্রতি বারে ২ টি রশ্মির উৎপত্তি হবে

একটি রশ্মিকে যতো খন্ড করা হোক না কেনো প্রতি বারে ১ টি রশ্মির উৎপত্তি হবে

একটি রেখাংশকে যতো খন্ডো করা হবে ততোটি রেখাংশের উৎপত্তি হবে

পার্থক্য-১০.

দুটি রেখা একি সমতলে মিলিত হয়ে নতুন একটি রেখা হয়

দুটি রশ্মি প্রান্ত বিন্দুতে একি সমতলে মিলিত হয়ে একটি রেখা হয়

দুটি রেখাংশ প্রান্ত বিন্দুতে একি সমতলে মিলিত হয়ে একটি রেখাংশ হয়


উপরোক্ত পার্থক্য সমূহ জানার মাধ্যমে আমরা রেখা ও রশ্মির মধ্যে পার্থক্য, রেখা ও রেখাংশের মধ্যে পার্থক্য, এবং রশ্মি ও রেখাংশের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করতে পারবো। নিম্নে রেখা, রশ্মি ও রেখাংশের মধ্যে কিছু সম্পর্ক বা মিল তুলে ধরা হলো।



রেখা, রশ্মি ও রেখাংশের মধ্যে সম্পর্ক বা মিল বা সদৃশ্য সমূহঃ


  • ১. 

রেখার কোনো প্রস্থ নেই।

রশ্মির কোনো প্রস্থ নেই।

রেখাংশের কোনো প্রস্থ নেই।



  • ২.

দুটি রেখা একে অপরকে ছেদ করলে চারটি কোণ উৎপন্ন হয়।

দুটি রশ্মি একে অপরকে ছেদ করলে চারটি কোণ উৎপন্ন হয়।

দুটি রেখাংশ একে অপরকে ছেদ করলে চারটি কোণ উৎপন্ন হয়।


  • ৩.

দুটি রেখা একে অপরকে ছেদ করলে যে চারটি কোণ উৎপন্ন হয় তাদের বিপ্রতীপ কোণ গুলো পরস্পর সমান।

দুটি রশ্মি একে অপরকে ছেদ করলে চারটি কোণ উৎপন্ন হয় তাদের বিপ্রতীপ কোণ গুলো পরস্পর সমান।

দুটি রেখাংশ একে অপরকে ছেদ করলে চারটি কোণ উৎপন্ন হয় তাদের বিপ্রতীপ কোণ গুলো পরস্পর সমান।



  • ৪.

দৈর্ঘ্য প্রকাশ করতে রেখা চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।

দৈর্ঘ্য প্রকাশ করতে রশ্মি চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।

দৈর্ঘ্য প্রকাশ করতে রেখাংশ চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।



রেখা, রশ্মি ও রেখাংশের মধ্যে উপরোক্ত পার্থক্য গুলো জানা ও বোঝার মাধ্যমে আশাকরি জ্যামিতির সুক্ষ ও ছোটো খাটো সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে জ্যামিতি তথা সম্পাদ্য ও উপপাদ্য সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানার্জন করতে পারবো। এই পাঠের মাধ্যমে আশাকরি সকলে খুবি উপকৃত হয়েছি। 



নতুন নতুন সমস্যার সমাধান নিয়ে আবারো হাজির হবো অন্য কোনো পাঠে। সে পর্যন্ত সকলের শুভকামনা করছি। পাঠ সম্পর্কে কমেন্ট করলে খুশি হবো। রেখা, রশ্মি ও রেখাংশের পার্থক্য গুলো বুঝতে কোনো প্রকার সমাস্যা হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। আমরা যথাসম্ভব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো।



ভালো থাকা হয় যেনো-

কে-মাহমুদ

১০-০২-২১

2 comments

fe রেখ odরশ্মির দুইটি পার্থক্য লেখ

আপনার কমেন্টটি বুঝতে পারি নাই। আশাকরি পুনরায় কমেন্টটি করবেন।

নিচের বক্সে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট আমাদের নিকট খুবি গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার কমেন্টের উত্তর আমরা যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব দিতে চেষ্টা করবো। আমাদের সাথেই থাকুন।
1timeschool.com
EmoticonEmoticon