শুক্রবার

গরুর পেট ফাঁপা ও গ্যাস - ওষুধ ও চিকিৎসা

গরুর পেট ফোলা ও পায়খানা না হলে ওষুধ ও করণীয়


এখানে যা থাকছে---

  • গরুর পেটে গ্যাস হলে করণীয়
  • গরুর পেট ফাঁপা রোগের চিকিৎসা
  • গরুর পেট ফাঁপা দূর করার ওষুধ
  • গরুর পায়খানা না হলে করণীয়

গরুর পেটে গ্যাস হলে করণীয়, গরুর পেট ফাঁপা রোগের চিকিৎসা, গরুর পেট ফাঁপা দূর করার ওষুধ, গরুর পায়খানা না হলে করণীয়
গরুর পেট ফাঁপা রোগ


গরুর পেটে গ্যাস বা পেট ফাঁপা বা পেট ফোলা রোগ গরুর একটি কমন বা সচারচার রোগ। দুগ্ধবতী গাভী বা গর্ভবতী গাভী, বকন-বকনা বা বাছুর যে কোনো বয়সের গরুর পেট ফাঁপা বা পেট ফোলা রোগ হঠাৎ করে দেখা দেয়। অতিরিক্ত পরিমাণে দানাদার খাদ্য গ্রহণ বা ইউরিয়া সমৃদ্ধ খাবার মাত্রাতিরিক্ত খেলে গরুর হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে ফলে বদহজমের সাথে পেটে গ্যাস হয়ে গরুর পেট ফুলে ওঠে। এছাড়া ঘাস বা লতা জাতীয় খাবার, ভাত বা শর্করা জাতীয় খাবার হঠাৎ বেশি পরিমাণে খেলে অনেক সময় গরুর বদহজম ও গ্যাস সমস্যা দেখা দেয়। পেট ফাঁপা রোগ যেহেতু হঠাৎ শুরু হয় ফলে বুঝে ওঠার আগেই অনেক সময় মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই রোগ দেখা দেওয়া মাত্র চিকিৎসা করানো উচিত। দ্রুত চিকিৎসা না করালে গরুর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।



গরুর পেট ফাঁপা রোগের কারণঃ

গরুর হজম প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় পেটের মাঝে থাকা রুমেনের সাহায্যে। রুমেনের মাঝে খাদ্য পৌছানোর পর তা হজম হতে শুরু করে। আধা চিবানো খাবার গরু জাবর কাটার মাধ্যমে পুনরায় চিবিয়ে হজমের জন্য পাঠিয়ে দেয়। রুমেনের মাঝে খাবার হজমের সময় খাবারে থাকা এমোনিয়া গ্যাস নির্গত হয়। রুমেনের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতে এর পিএইচ  (PH সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন>>>) মাত্রা ঠিক থাকা জরুরী। কোনো কারণে গরু যখন অধিক পরিমাণে এমোনিয়া  সমৃদ্ধ খাবার খায় তখন রুমেনের গতিশীলতা হ্রাস পাওয়ার সাথে অধিক পরিমাণে গ্যাস উৎপন্ন হয়। উৎপন্ন গ্যাস রুমেন থেকে বের হতে না পারলে গ্যাসে পেট ফুলে ওঠে ফলে পেট ফাঁপা রোগ দেখা দেওয়ার পাশাপাশি রুমেনের কার্যক্ষমতা হারাতে থাকে এবং বদ হজম দেখা দেয়। গ্যাসের অধিক্যের কারণে রুমেনের কার্যক্ষমতা হারিয়ে গরুর পেট ফুলে ওঠার এই বিরূপ অবস্থাকে গরুর পেট ফাঁপা বা গ্যাস হওয়া বা পেট ফোলা বা পেট ফুলে ওঠা রোগ বলে।



গরুর পেটে গ্যাস জমা হওয়ার ধরণঃ

গরুর পেটে সাধারণত ২ ভাবে গ্যাস জমার প্রবণতা দেখা দেয়। খাদ্য থেকে গ্যাস বের হবার পর রুমেনে মুক্ত অবস্থায় অতিরিক্ত গ্যাস জমা হলে তাকে গরুর পেট ফাঁপা বা টিমপানি বা টিমপ্যানি বা টিম্পানি (Tympany) রোগ বলে। অপার দিকে খাদ্য থেকে গ্যাস বের হয়ে রুমেনে বুদবুদ আকারে গ্যাস জমা হলে তাকে ব্লোট বা ব্লট (Bloat) রোগ বলে। দানাদার খাদ্য বা যে কোনো খাদ্য থেকে উৎপন্ন গ্যাস অতিরিক্ত পরিমাণে উৎপন্ন হয়ে যখন খাদ্য নালি বা রুমেনে জমা হয়ে পেট ফুলে ওঠে তখন গরুর Tympany রোগ হয়। অন্যদিকে সাধারণত সিম, মটর বা খেসারী বা দ্রুত বর্ধনশীল লিগিউম (ক্লোভার বা লুসার্ন) জাতীয় ঘাস বা খাদ্য খেলে অধিক পরিমাণে এমোনিয়া গ্যাস উৎপন্ন হয় এবং গরুর Tympany রোগের সৃষ্টি হয়। গরু যখন ইউরিয়া প্রয়োগ কৃত খাবার বা ঘাস, বর্ষার পর দ্রুত বর্ধনশীল অধিক নাইট্রোজেন সমৃদ্ধ কাচা ঘাস বা অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ অধিক ঘাস বা খাবার খায় তখন গরুর রুমেনে বুদবুদ আকারে গ্যাস জমা হয় ফলে ঢেকুর দিয়ে গরু রুমেনে উৎপন্ন গ্যাস বের করতে পারে না এবং Bloat রোগ দেখা দেয়। অনেক সময় Tympany বা Bloat রোগ খাদ্য নালীতে খাবার জমা হয়ে ব্লক তৈরির ফলেও হয়ে থাকে।



গরুর ক্রনিক ব্লোট রোগঃ

গরু ব্লোট বা গ্যাস সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে ৫-৭ দিন খাবার না খেয়ে থাকতে পারে। গরু সুস্থ হয়ে ওঠে তবে আবার ব্লোট রোগ দেখা দেয়। মাঝে মাঝে সেরে যায় আবার মাঝে মাঝে আবার ব্লোট দেখা দেয় ফলে চিকিৎসা খরচ বেড়ে যায়। গরুর এভাবে মাঝে মাঝে ব্লোট হওয়া কে গরুর ক্রনিক ব্লট বলে। দুগ্ধবতী গাভীর ক্রনিক ব্লোট হওয়ায় দুধ উৎপাদন দ্রুত হ্রাস পেতে থাকে। সাধারন্ত এন্টিবায়োটিক দ্বারা চিকিৎসার ফলে বা দীর্ঘ দিন রোগে ভোগার ফলে বা অন্য যে কোনো কারণে রুমেনে থাকা মাইক্রোফোরা বা অনুজীব মারা গেলে গরুর হজম প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটে এবং রুমেনে অধিক পরিমাণে গ্যাস জমা হতে থাকে ফলে বারবার ব্লট বা ব্লোট রোগ দেখা দেয়। গরু বার বার ব্লট বা পেট ফাঁপা রোগে আক্রান্ত হলে দূর্বল হয়ে পড়ে এবং খামার লোকসানের সম্মুখীন হয়। ক্রনিক ব্লোট বা নিয়মিত ভাবে মাঝে মাঝে পেট ফাঁপা রোগ গরু পালনের মারাত্মক অন্তরায়। তাই অবহেলা না করে গরুর পেট ফাপা রোগের দ্রুত চিকিৎসা করাতে হবে।



গরুর পেট ফাঁপা রোগের লক্ষণঃ

নিচের লক্ষণ গুলো দেখে প্রাথমিক ভাবে ধরে নেওয়া যেতে পারে যে গরুর টিমপ্যানি বা ব্লট রোগ বা পেট ফাঁপা রোগ হয়েছে-

  • ১. গরুর বাম দিকের পেট গ্যাসের কারণে ফুলে উচু হয়ে ওঠে এবং হাতের তালু দিয়ে আলতো করে আঘাত করলে ডবডব করে শব্দ হয়।
  • ২. গরু জোরে জোরে শ্বাস নিতে থাকে, ঘাম ঝরতে পারে এমনকি জিহ্বা বের করে শ্বাস নিতে পারে।
  • ৩. প্রসব পায়খানা করার চেষ্টা করে তবে বন্ধ হয়ে যায়।
  • ৪. খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেয়, ক্ষুধামন্দা দেখা দেয় অথবা খুবি সামান্য পরিমাণে খাবার খায়।
  • ৫. চোখের কিনারা ঘেসে জল গড়িয়ে পড়তে পারে।
  • ৬. মুখ দিয়ে অনেক সময় লালা ঝরতে পারে।
  • ৭. গরু জাবরকাটা বন্ধ করে দেয়, নড়াচড়া করা বন্ধ করে দেয় এবং ঝুপ মেরে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে বা বার বার উঠাবসা করতে পারে।
  • ৮. গরুর কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হয়ে যায়।
  • ৯. চোখ ফুলে যেতে পারে।
  • ১০. অধিক পরিমাণে গ্যাস হলে নাড়িভুঁড়ি গ্যাসের চাপে ফুলে যায় যা গরুর ফুসফুস ও হৃদপিন্ডে চাপ সৃষ্টি করে ফলে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বা শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হতে পারে এবং দ্রুত চিকিৎসা না করালে অবশেষে গরুর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।



গরুর পেট অল্প পরিমাণ ফাঁপা হলে চিকিৎসা ও করণীয়ঃ

  • ১. পারগেটিভ বা কারমিনেটিভ মিক্সার বা হজম কারক, পায়খানা পিচ্ছিল কারক ও গ্যাস নিবারক খাবার বা ওষুুধ হিসেবে এন্টি ব্লোট প্রিপারেশন যেমন - নো ব্লোট /এন্টি ব্লোট / ব্লট ফ্রি/ জিরো ব্লট/ ম্যাগভেট প্লাস ইত্যাদি প্রিপারেশনের যে কোনো একটি প্যাকেটের গায়ে বা লেবেলে লেখা নিয়ম অনুযায়ী খাওয়াতে হবে।
  • ২. এন্টি ব্লট প্রিপারেশন খাওয়ানোর পর গরুকে হাটাতে হবে বা নড়া চড়া করাতে হবে যাতে পেটের মাঝে বা রুমেনের মাঝে সর্বত্র ওষুধ ছড়িয়ে পড়ে এবং গ্যাস কমে যায়।
  • ৩. গরুকে ফ্যানের বাতাসে রাখতে হবে অথবা খোলা মেলা বাতাস চলাচল করে এমন ছায়া যুক্ত স্থানে রাখতে হবে।
  • ৪. প্রয়োজনে বভি ভেট পাওডার খাওয়াতে হবে যা দ্রুত গ্যাস কমাতে সহায়তা করবে।
  • ৫. প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।



গরুর পেটে মাঝারি পরিমাণ গ্যাস জমলে চিকিৎসা ও করণীয়ঃ

  • ১. স্টোমাক টিউবের সাহায্যে গরুর পেট থেকে গ্যাস বের করার ব্যবস্থা করতে হবে।
  • ২. এন্টি ব্লোট প্রিপারেশন যেমন - নো ব্লোট /এন্টি ব্লোট / ব্লট ফ্রি/ জিরো ব্লট/ ম্যাগভেট প্লাস ইত্যাদি প্রিপারেশনের যে কোনো একটি প্যাকেটের গায়ে বা লেবেলে লেখা নিয়ম অনুযায়ী খাওয়াতে হবে।
  • ৩. গরুকে হাটাতে হবে ও নড়াচড়া করাতে হবে।
  • ৪. বাতাস চলাচল করে এমন ছায়াযুক্ত স্থানে রাখতে হবে।
  • ৫.  প্রয়োজনে বভি ভেট পাওডার খাওয়াতে হবে যা দ্রুত গ্যাস কমাতে সহায়তা করবে।
  • ৬. চিকিৎসকের পরামর্শ মতে অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।



গরুর মারাত্মক পেট ফোলার চিকিৎসা ও করণীয়ঃ

  • ১. স্টোমাক টিউবের সাহায্যে গ্যাস বের করার পরেও গ্যাস কমে না গেলে গরুর পেটের উচু জায়গাতে ধারালো জীবাণুমুক্ত ছুরি দিয়ে ১০-২০ সে.মি. পেট ফুট করে বা কেটে রুমেন থেকে খাদ্যদ্রব্য ও গ্যাস বের করে দিতে হবে এবং রুমেনের মাঝে এন্টি ব্লট প্রিপারেশন যেমন- নো ব্লোট /এন্টি ব্লোট / ব্লট ফ্রি/ জিরো ব্লট/ ম্যাগভেট প্লাস ইত্যাদি প্রিপারেশনের যে কোনো একটি প্রয়োগ করতে হবে।
  • ২. জীবাণুমুক্ত শুই সুতা দিয়ে কাটা স্থান সেলাই করতে হবে এবং অতি মারাত্মক অবস্থায় এসব কাজ ডাক্তারের আশায় বসে না থেকে পেট কাটা থেকে শুরু করে সেলাই পর্যন্ত সকল কাজ খামার মালিক কে দ্রুত নিজ উদ্যোগে করে নিতে হবে।
  • ৩. ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করতে এবং ক্ষত স্থান দ্রুত শুকাতে এন্টিসেপ্টিক ক্রিম অথবা জীবাণুনাশক সলিউশন যেমন- পভিডন লাগাতে হবে এবং গরুকে এন্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন যেমন- SP-Vet বা Streptomycin & Penicillin ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করতে হবে।
  • ৪. এন্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন দেওয়ার পাশাপাশি Anti Histamin ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করতে হবে।
  • ৫. চিকিৎসকের পরামর্শ মতে দীর্ঘ দিন চিকিৎসা চালাতে হবে।



গরুর গ্যাস ও পেট ফাঁপার ঘরোয়া ও আয়ুর্বেদী চিকিৎসাঃ

  • ১. সামান্য বা মাঝারি সমস্যা দেখা দিলে বাড়িতে থাকা এন্টাসিড সিরাপ বা ট্যাবলেট খাওয়ানো যেতে পারে।
  • ২. পেটে গ্যাস হয়ে গরুর অধিক সমস্যা দেখা দিলে ২৫০-৫০০ মি.লি সোয়াবিন তেল অথবা ১০০-১৫০ মি.লি. প্যারাফিন তেল খাওয়ানো যেতে পারে।
  • ৩. পেট ফাঁপার প্রাথমিক অবস্থায় গরুকে আদা রস খাওয়ানো যেতে পারে।



গরুর পেট ফাঁপা রোধে করণীয়ঃ

  • ১. পরিমিত মাত্রায় গরুকে দানাদার খাদ্য খাওয়াতে হবে।
  • ২. নিয়মিত গরুকে মাঝে মাঝে আদা রস খাওয়াতে হবে অথবা এপিটাইজার পাওডার যেমন- জাইমোভেট পাওডার খাওয়াতে হবে যা হজম কারক ও রুচিবর্ধক হিসেবে কাজ করবে।
  • ৩. দ্রুত বর্ধনশীল ঘাস পরিমিত মাত্রায় ও কার্বোহাইড্রেট খাবার যেমন ভাত অল্প পরিমাণে খাওয়াতে হবে।
  • ৪. মাঝে মাঝে গরুকে প্রবায়োটিক ট্যাবলেট বা পাওডার খাওয়াতে হবে যা গরুর রুমেনে থাকা অণুজীব বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
  • ৫. ইউএমএস বা ইউরিয়া ও গুড় মিশ্রিত খড় তৈরিতে খেয়াল রাখতে হবে যেনো এতে ইউরিয়ার মাত্রা বেশি না হয়ে পড়ে।
  • ৬. বাসি খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • ৭. নিয়মিত খাবার পাত্র জীবাণুনাশ দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
  • ৮. গরুর খাবারে ১% হারে সোডিয়াম বাই কার্বনেট বা খাবার সোডা মিশিয়ে নিয়মিত খাওয়াতে হবে।
  • ৯. অধিক স্টাচ জাতীয় খাবার যেমন ভূট্টা কখনো বেশি পরিমাণে গরুকে খাওয়ানো যাবে না।
  • ১০. প্রচুর পরিমাণে পরিষ্কার পানি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।


গরুর পেট ফাঁপা রোধে কিছু ওষুধ পত্রঃ

  • ১. ব্লট স্টপ/নো ব্লট/জিরো ব্লট/ম্যাগভেট প্লাস - এগুলো গ্যাস রোধ করে গরুর প্রস্রাব পায়খানা হতে সহায়তা করে। গর্ভবতী গাভীর জন্য নিরাপদ।
  • ২. বভি কেয়ার/জাইমোভেট/ডিজিম্যাক্স/ডিজিটোন পাওডার - এগুলো গ্যাস রোধক ও রুচিবর্ধক পাওডার। গর্ভবতী গাভীর জন্য নিরাপদ।
  • ৩. রুমেনটন/রুমকিউর- যা রুমেনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। গর্ভবতী গাভীর জন্য নিরাপদ।
  • ৪. প্রবায়োটিক প্লাস - যা রুমেনে থাকা অণুজীবের সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়ে খাবার হজম হতে ও গ্যাস রোধ করতে সহায়তা করে। গর্ভবতী গাভীর জন্য নিরাপদ।



সতর্কতাঃ

  • ১. গরুর পেট ফাঁপার লক্ষণ দেখা দেওয়া মাত্র প্রথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে বা পেট ফাঁপা দূর করার ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে এবং নিজে না পারলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
  • ২. পেট ফাঁপা রোগ অবহেলা করলে গরু মারা যেতে পারে তাই নিয়মিত গরুর পেটে হাত দিয়ে পেটে গ্যাস হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে।
  • ৩. পেট ফাঁপা লক্ষণ দেখা দেওয়া মাত্র চিকিৎসা গ্রহণের পাশাপাশি গরুকে খাবার খাওয়ানো বন্ধ করে দিতে হবে।
  • ৪. বাছুরের পেট ফাঁপা দেখা দিলে চোখে চোখে রাখতে হবে।
  • ৫. গর্ভবতী গাভীর পেট ফাঁপা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
  • ৬. যে কোনো ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ মতে গ্রহণ ও প্রয়োগ করা উচিত। 

নিচের বক্সে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট আমাদের নিকট খুবি গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার কমেন্টের উত্তর আমরা যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব দিতে চেষ্টা করবো। আমাদের সাথেই থাকুন।
1timeschool.com
EmoticonEmoticon