আউটসোর্সিং লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
আউটসোর্সিং লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শুক্রবার

১০ টি সেরা ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার

২০২৪ সালের সেরা ১০টি ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার


এখানে যা থাকছে---

  • সেরা ১০টি ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
  • free video editing software
  • ভিডিও এডিটিং এর সেরা সফটওয়্যার
  • সবচেয়ে ভালো ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
  • ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার

সেরা ১০টি ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার, free video editing software,  সবচেয়ে ভালো ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার,  ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার, ভিডিও এডিটর
১০টি ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার

বর্তমান ডিজিটাল যুগে আকর্ষণীয় ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চাহিদা ও প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির সাথে সাথে, ভাল মানের ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারের প্রয়োজনীয়তাও দিনদিন বেড়ে চলেছে। অনেক সময় video editing এর পেইড সফটওয়্যারগুলো আমরা ক্রয় করতে পারি না। সেক্ষেত্রে ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার আমাদের বিকল্প সমস্যার অন্যতম সমাধান হতে পারে। এই আর্টিকেলে ২০২৪ সালে ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটকের মত প্লাটফর্ম গুলোতে ভিটিও এডিটিং এর উপযোগী কিছু জনপ্রিয় free video editing software বা best video editing tools সহ, আরো কিছু প্রয়োজনীয় বা দরকারি টুলস নিয়ে আলোচনা করব। আশাকরি খুবি উপকৃত হবেন।



যে কারনে ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহার করা উচিতঃ

প্রায় সকল প্রকার ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার, সাধারণত সহজে ডাউনলোড, ইন্সটল এবং ব্যবহার করা যায়। এই সফটওয়্যারগুলিতে রয়েছে ভিডিও এটিং এর জন্য প্রয়োজনীয় প্রচুর বৈশিষ্ট্য, ফিচার এবং ফাংশন, যা প্রায় পেইড সফটওয়্যারগুলোর মতই আকর্ষণীয় ও কার্যকর। এছাড়াও, কিছু কিছু ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার শিক্ষার্থী এবং শিক্ষানবিশদের জন্য অনেক সুযোগ ও ফিচার যুক্ত করে যা অনেক সময় পেইড সফটওয়্যার গুলোতেও পাওয়া যায় না।এই কার্টিকেলে কিছু ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার নিয়ে আলোচনা করব যেগুলো সম্পূর্ণ ফ্রিতে এবং ফ্রি সুবিধার পাশাপাশি আপগ্রেড করে প্রো ভার্সনেও ব্যবহার করা যায়।


২০২৪ সালের শীর্ষ ১০টি ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার

  • ১. DaVinci Resolve

DaVinci Resolve একটি প্রফেশনাল-গ্রেড ভিত্তিক ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার যা বিনামূল্যে পাওয়া যায়। এটি কালার গ্রেডিং এর পাশাপাশি পোস্ট-প্রোডাকশন কার্যক্রমের জন্য বিখ্যাত। প্রফেশনাল ফিচার বা সুবিধা থাকার পাশাপাশি এর ইন্টারফেস খুব সহজ এবং ব্যবহারকারীর জন্য মানানসই।


বৈশিষ্ট্য: প্রফেশনাল এডিটিং টুলস, উন্নত কালার করেকশন, মাল্টি-ক্যাম এডিটিং, ফেয়ারলাইট অডিও পোষ্ট প্রোডাকশন।


অসুবিধা:শিক্ষানবিশদের জন্য কিছুটা জটিল হাই-এন্ড হার্ডওয়্যার প্রয়োজন।


ডাউনলোড লিংক: DaVinci Resolve


রেটিং: ★★★★★ (5/5)



  • ২. HitFilm Express

HitFilm Express হল একটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার যা ভিএফএক্স (VFX) এবং 3D কম্পোজিটিং এর জন্য বিখ্যাত। এটি প্রফেশনাল এবং নতুন ব্যবহারকারী উভয়ের জন্য উপযুক্ত।


বৈশিষ্ট্য: ভিএফএক্স টুলসট্রান্সিশন এবং ইফেক্টস, 3D কম্পোজিটিং, অ্যাডভান্সড কাস্টমাইজেশন।


অসুবিধা: প্রাথমিক সেটআপ কিছুটা জটিল, কিছু ফিচার আছে যা লক করা থাকে যা ব্যবহারের জন্য পেইড ভার্সন অর্থাৎ আপগ্রেড করে নিতে হয় অথবা অ্যাড-অন চালু করতে হয়।


ডাউনলোড লিংক: HitFilm Express


রেটিং: ★★★★☆ (4/5)



  • ৩. Shotcut

Shotcut হল এমন একটি ওপেন সোর্স ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার যা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাওয়া যায়। এটি বিভিন্ন ফরম্যাট সাপোর্ট করে এবং এর ইউজার ইন্টারফেস সহজেই ব্যবহারযোগ্য।


বৈশিষ্ট্য: এটি সম্পূর্ণ ফ্রি বা ওপেন সোর্স সফটওয়্যার, বিভিন্ন ফরম্যাট সাপোর্ট করে, উন্নত টাইমলাইন সমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় ভিডিও ইফেক্ট এবং ফিল্টার যুক্ত।


অসুবিধা: এতে সীমিত প্রফেশনাল ফিচার রয়েছে, এটি কিছুটা ধীরগতিতে কাজ করে।


ডাউনলোড লিংক: Shotcut


রেটিং: ★★★☆☆ (3/5)



  • ৪. Lightworks

Lightworks হল একটি প্রফেশনাল গ্রেডের ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। এটি অবাক করার বিষয় যে, হলিউডের চলচ্চিত্র সম্পাদনার জন্য Lightworks ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এর ফ্রি ভার্সনেও প্রচুর ফিচার বা বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ব্যবহারকারীদের প্রায় সকল প্রয়োজন মিটিয়ে থাকে।


বৈশিষ্ট্য: এতে রয়েছে প্রফেশনাল এডিটিং টুলস, এটিতে উন্নত ভিডিও ইফেক্টস রয়েছে, এটি মাল্টি-ক্যাম সাপোর্ট করে, এর মধ্যমে রিয়েল-টাইম প্রজেক্ট শেয়ারিং করা যায়।


অসুবিধা: এর ইন্টারফেস কিছুটা জটিল তাই আনপ্রফেশনাল বা নতুনদের জন্য ব্যবহার করা কিছুটা জটিল হতে পারে, এর পেইড ভার্সন রয়েছে ফলে ফ্রি ভার্সনে কিছু ফিচার সীমিত।


ডাউনলোড লিংক: Lightworks


রেটিং: ★★★★☆ (4/5)



  • ৫. OpenShot

OpenShot একটি সহজলভ্য এবং ইউজার-বান্ধব ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। এটি উইন্ডোজ বা ম্যাক সহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে এবং অনেক ফিচার সমৃদ্ধ।


বৈশিষ্ট্য: এটিতে ক্রস-প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, রয়েছে উন্নত টাইমলাইন, এছাড়া ভিডিও ট্রান্সিশন এবং রয়েছে চমৎকার সব ইফেক্টস, এটিতে 3D অ্যানিমেশন যুক্ত করার সুবিধা রয়েছে।


অসুবিধা: এটি কিছুটা ধীরগতির হতে পারে, এতে সীমিত প্রফেশনাল ফিচার রয়েছে ফলে সাধারণ ভিডিও এডিটিং এর জন্য এটি উপযুক্ত।


ডাউনলোড লিংক: OpenShot


রেটিং: ★★★☆☆ (3/5)



  • ৬. VSDC Free Video Editor

VSDC Free Video Editor একটি শক্তিশালী ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। এটি প্রফেশনাল লেভেলের অসংখ্য ফিচার রয়েছে। এটি ব্যবহার করা খুবি সহজ ও বিভিন্ন ফরম্যাট সাপোর্ট করে।


বৈশিষ্ট্য: এটিতে নন-লিনিয়ার এডিটিং সুবিধা রয়েছে, ভিডিও স্টাবিলাইজেশন ও কালার পরিবর্তন সহ রয়েছে উন্নত ভিডিও ইফেক্ট।


অসুবিধা: এর ইন্টারফেস কিছুটা পুরাতন মনে হতে পারে, এটি ফ্রি এবং প্রিমিয়াম উভয় ভার্সনে পাওয়া যায়, ফ্রি ভার্সনে প্রিমিয়াম ফিচার গুলো লক করা থাকে।


ডাউনলোড লিংক: VSDC Free Video Editor


রেটিং: ★★★★☆ (4/5)



  • ৭. Blender

Blender হল একটি সম্পূর্ণ ফ্রি বা ওপেন সোর্স ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার যা 3D মডেলিং এবং অ্যানিমেশন করার জন্য খুবি বিখ্যাত। এটি প্রফেশনাল লেভেলের ফিচার স্মৃদ্ধ একটি জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার।


বৈশিষ্ট্য: 3D মডেলিং ও অ্যানিমেশন টুলস যুক্ত ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার যা কম্পোজিটিং এবং ভিএফএক্স সুবিধা সম্পন্ন।


অসুবিধা: শিক্ষানবিশ বা নতুন্দের জন্য এটি কিছুটা জটিল মনে হতে পারে, হাই-এন্ড হার্ডওয়্যার বা উচ্চ মেমরি ও হাই লেভেল প্রসেসর সম্পন্ন ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে ভালো কাজ করে।


ডাউনলোড লিংক: Blender


রেটিং: ★★★★☆ (4/5)



  • ৮. Avidemux

Avidemux আরেকটি সাধারণ কিন্তু কার্যকরী ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। প্রাথমিক ভিডিও এডিটিং এর জন্য Avidemux খুবি উপযুক্ত। এটি দিয়ে দ্রুত এবং সহজে ভিডিও কাট, ফিল্টার এবং এনকোড করা যায়।


বৈশিষ্ট্য: এটি সহজ ইউজার ইন্টারফেস হওয়ায় যে কেও এটি ব্যবহার করতে পারে। দ্রুত কাটা এবং ফিল্টার করা সহ বিভিন্ন ফরম্যাট সাপোর্ট করে। এছাড়া এর স্ক্রিপ্টিং ক্ষমতা রয়েছে।


অসুবিধা: এটিতে সীমিত প্রফেশনাল ফিচার রয়েছে ফলে উচ্চ মানসম্পন্ন ভিডিও তৈরি অসম্ভব। এটি মূলত অত্যন্ত প্রাথমিক বা নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য বেশি ভালো।


ডাউনলোড লিংক: Avidemux


রেটিং: ★★★☆☆ (3/5)



  • ৯. VideoPad

VideoPad সহজে ব্যবহারযোগ্য একটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার, যা বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে কাজ করতে সক্ষম বা বিভিন্ন ফরম্যাট সাপোর্ট করে। এটি শিক্ষানবিশ বা নতুন ব্যবহারকারীর পাশাপাশি সামান্য জ্ঞান আছে এমন ব্যবহারকারীদের জন্য বেশি উপযুক্ত।


বৈশিষ্ট্য: এতে সহজ ইউজার ইন্টারফেস থাকায় যে কেও সহজে ব্যবহার করতে পারে। বিভিন্ন ফরম্যাট সাপোর্ট সহ এটি ট্রান্সিশন এবং ইফেক্টস সমৃদ্ধ। এটি দিয়ে 3D ভিডিও এডিটিং করা যায়।


অসুবিধা: এতে সীমিত প্রফেশনাল ফিচার থাকায় উন্নত মানের ভিডিও এডিটিং সম্ভব নয়। এতে তেমন বেশি উন্নত ফিচার নেই।


ডাউনলোড লিংক: VideoPad


রেটিং: ★★★☆☆ (3/5)



  • ১০. Kdenlive

Kdenlive হল সম্পূর্ণ ফ্রি একটি ওপেন সোর্স ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। Kdenlive দিয়ে প্রফেশনাল লেভেলের ভিডিও এডিটিং করা যায়। এতে অনেক প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং ফিচার রয়েছে। এটি লিনাক্স, উইন্ডোজ এবং ম্যাক সমর্থিত ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এবং প্রফেশনাল গ্রেডের ভিডিও এডিটিং এর জন্য প্রয়োজনীয় ফিচার সমৃদ্ধ।


বৈশিষ্ট্য: এটি দিয়ে নন-লিনিয়ার এডিটিং ও মাল্টি-ট্র্যাক ভিডিও এডিটিং করা যায়, উন্নত ভিডিও ইফেক্টস সমৃদ্ধ এবং ট্রান্সিশনস ও অডিও এবং ভিডিও স্ক্রিপ্টিং ফিচার সমৃদ্ধ একটি জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার।


অসুবিধা: এতে কিছুটা জটিল ইন্টারফেস রয়েছে, এর কিছু ফিচার আরো উন্নত করা প্রয়োজন।


ডাউনলোড লিংক: Kdenlive


রেটিং: ★★★★☆ (4/5)



২০২৪ সালে ইউটিউব, ফেসবুক, এবং টিকটক সহ নানারকম প্লাটফর্মে ভিডিও পাবলিশের জন্য ভালো ফিচার সমৃদ্ধ ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার প্রয়োজন। উপরোক্ত ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে প্রফেশনাল ও উচ্চমানের ভিডিও এডিটিং খুব সহজেই করে নেওয়া যায়। এটা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি সফটওয়্যারের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য এবং আলাদা আলাদা সুবিধা রয়েছে। আপনার চাহিদা পুরোন করতে এক বা একাধিক ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার প্রয়োজন হতে পারে। তবে কোনটা আপনার জন্য বেশি উপযুক্ত তা নির্ভর করে আপনার প্রয়োজন এবং চাহিদার উপর। DaVinci Resolve এবং HitFilm Express প্রফেশনাল এবং উচ্চমানের ও আকর্ষণীয় ফিচার সমৃদ্ধ ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার, অপরদিকে OpenShot এবং Shotcut সম্পূর্ণ ফ্রি এবং ওপেন সোর্স ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এবং এটি শিক্ষানবিশ বা নতুন ভিডিও এডিটর দের জন্য বেশি উপযুক্ত।




উৎস: এই আর্টিকেলটি লিখতে আমার নিজের লেখার পাশাপাশি এআই টেকনোলজির সাহায্য নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার

IDM এর সেরা বিকল্প: ৫টি সেরা ডাউনলোড ম্যানেজার

Internet Download Manager এর সেরা বিকল্প সমূহ


এখানে যা থাকছে---

  • IDM এর বিকল্প
  • সেরা ডাউনলোড ম্যানেজার
  • ফ্রি ডাউনলোড ম্যানেজার
  • ভিডিও ডাউনলোড ম্যানেজার
  • বিনামূল্যে ডাউনলোড ম্যানেজার
  • IDM alternatives
  • Best download manager
  • Free download manager
  • Free download manager software

IDM এর বিকল্প, সেরা ডাউনলোড ম্যানেজার, ফ্রি ডাউনলোড ম্যানেজার, ভিডিও ডাউনলোড ম্যানেজার, বিনামূল্যে ডাউনলোড ম্যানেজার, IDM alternatives, Best download manager, Free download manager, Free download manager software
IDM এর বিকল্প সমূহ


Internet Download Manager বা IDM হল একটি জনপ্রিয় ডাউনলোড ম্যানেজার।  IDM মূলত দ্রুত ডাউনলোড স্পিড এবং সহজ ব্যবস্থাপনার জন্য বেশি পরিচিত। তবে, IDM বিনামূল্যে লাইফটাইম ব্যাবহার করা না যাওয়ার কারণে অনেকেই এর বিকল্প সফটওয়্যার খোঁজেন। যারা IDM ব্যবহার করেন তাদের অনেকেই হয়তো জানেন না যে, এমন অনেক ভালো ডাউনলোড ম্যানেজার রয়েছে যা IDM এর সমতুল্য বা কখনও কখনও IDM এর চেয়ে আরও ভালো এবং আরো দ্রুত গতিসম্পন্ন। নিচে আমরা এমন  পাঁচটি ডাউনলোড ম্যানেজারের কথা তুলে ধরবো যারা IDM এর সেরা বিকল্প সফটওয়্যার বা ডাউনলোড ম্যানেজার। আশাকরি এই ডাউনলোড ম্যানেজার গুলো IDM এর মতই আপনার ডাউনলোডের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে।



১. Free Download Manager (FDM)

Free Download Manager বা FDM হল IDM এর একটি সেরা বিকল্প। এটি ব্যবহারকারীদের কাছে অনেক জনপ্রিয়। এটি অসাধারণ সুবিধা প্রদান করে বলে গুনগত মানে আইডিএম এর সমতুল্য। FDM সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যাবহার করা যায় এবং অনেক উন্নত ফিচার সম্বলিত বিধায় এর গ্রাহক সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলেছে।


FDM এর প্রধান ফিচার সমূহঃ

  • একাধিক ফাইল একসাথে ডাউনলোড সুবিধা: FDM এর মাধ্যেমে একাধিক ফাইল একসাথে ডাউনলোড করা যায় যা এর অন্যতম সুবিধা। 
  • বিভাজন প্রযুক্তি: FDM ডাউনলোডের গতি বাড়ানোর জন্য বা দ্রুত ডাউনলোডের জন্য ফাইলকে ছোট ছোট অংশে বিভক্ত বা বিভাজন করে ডাউনলোড করতে শুরু করে ফলে ডাউনলোড স্পিড বেড়ে যায়।
  • ভিডিও এবং অডিও ফাইল কনভার্টার: FDM এ দ্রুত ফাইল ডাউনলোডের পাশাপাশি  ভিডিও এবং অডিও ফাইলকে বিভিন্ন ফরম্যাটে কনভার্ট করতে পারে।
  • ব্রাউজার ইন্টিগ্রেশন: এটি বিভিন্ন ব্রাউজারের সাথে সহজেই ইন্টিগ্রেট করা যায় যা এর একটি বিশেষ সুবিধা। 
  • BitTorrent সমর্থন: অনেক ডাউনলোড ম্যানেজার টরেন্ট ফাইল ডাউনলোড করতে পারে না কিন্তু FDM টরেন্ট ফাইল ডাউনলোড করতে পারে।
  • প্লেলিস্ট ডাউনলোড করার সুবিধা: ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোডের জন্য আমরা নানারকম পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকি কিন্তু Free Download Manager ব্যবহার করে খুব সহজেই ইউটিউব বা অন্য ভিডিও সাইটের প্লেলিস্ট ডাউনলোড করা যায়।
  • উন্নত ডাউনলোড শিডিউলার: আপনার অনলাইনে অন্যকোনো কাজের সময় ফাইল ডাউনলোড করলে নেট স্পিড কমে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে এতে রয়েছে ফাইল ডাউনলোড  শিডিউল ব্যবস্থা, যা নির্দিষ্ট সময়ে শুরু বা বন্ধ হয়।
  • ডাউনলোড রিজিউম: ইন্টারনেট কানেকশন বিচ্ছিন্ন হলেও IDM এর মতই FDM এর মাধ্যমে রিজিউম পদ্ধতিতে  ডাউনলোড পুনরায় শুরু করা যায়।
  • ডাউনলোড লিংক: Free Download Manager



২. JDownloader

JDownloader একটি ওপেন সোর্স বা উন্মুক্ত বা ফ্রি ডাউনলোড ম্যানেজার যা IDM এর মতোই শক্তিশালী এবং জনপ্রিয়। এটি বিনামূল্যে এবং বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে।


JDownloader এর প্রধান ফিচার সমূহ:

  • একাধিক হোস্টিং সাইট থেকে ডাউনলোড সমর্থন: JDownloader এর মাধ্যমে বিভিন্ন হোস্টিং সাইট থেকে ডাউনলোড করা যায়।
  • ক্যাপচা রেসোল্ভার: JDownloader ডাউনলোডের সময় কোনো সাইটে ক্যাপচা বা হিউম্যান যাচাই করতে চাইলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুরন করতে পারে যা এর একটি বিশেষ সুবিধা।
  • ব্রাউজার এক্সটেনশন: JDownloader এর এক্সটেনশন ব্যবস্থা রয়েছে যা বিভিন্ন ব্রাউজারে এক্সটেনশন হিসেবে কাজ করে।
  • অটোমেটিক রিকানেক্ট: ডাউনলোডের সময় ইন্টারনেট কানেকশন বিচ্ছিন্ন হলেও, নেট পাওয়ার সাথে সাথে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনরায় রিকানেক্ট হয়।
  • ব্যাচ ডাউনলোডিং পদ্ধতি: JDownloader ব্যবহার করে একসাথে একাধিক ফাইল ডাউনলোড করা যায়।
  • আরএসএস ফিড সমর্থন: এটি আরএসএস ফিড থেকে ডাউনলোড লিঙ্ক সংগ্রহ করতে পারে যা এর একটি বিশেষ সুবিধা।
  • ফাইল এনক্রিপশন: JDownloader ডাউনলোড করা ফাইলগুলিকে এনক্রিপ্ট করতে পারে যা এর একটি অন্যতম ফিচার।
  • ডাউনলোড লিংক: JDownloader



৩. EagleGet

EagleGet একটি লাইটওয়েট এবং শক্তিশালী ডাউনলোড ম্যানেজার যা হতেপারে IDM এর আরেকটি আদর্শ বিকল্প। এটি বিনামূল্যে বা ফ্রিতে পাওয়া যায় এবং এতে রয়েছে ডাউনলোড পদ্ধতির বিভিন্ন ফিচার।


প্রধান ফিচার সমুহ:

  • স্মার্ট ভিডিও গ্র্যাবার: EagleGet এর স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিও ডাউনলোড করতে পারে।
  • ব্যাচ ডাউনলোডিং: EagleGet এর মাধ্যমে একসাথে একাধিক ফাইল ডাউনলোড করা যায়।
  • অ্যান্টিভাইরাস ইন্টিগ্রেশন: EagleGet এর একটি বিশেষ সুবিধা হল, এটি ডাউনলোড হওয়া ফাইলগুলিকে অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করতে পারে।
  • ডাউনলোড শিডিউলার: EagleGet ডাউনলোড ম্যানেজারের মাধ্যমে আপনি কোনো ফাইল পরে ডাউনলোড করতে চাইলে তা শিডিউল করে রাখতে পারেন।
  • মাল্টি থ্রেডিং সাপোর্ট: এটি EagleGet এর একটি বিশেষ সুবিধা। মাল্টি থ্রেডিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে EagleGet ডাউনলোড স্পিড বাড়াতে পারে, ফলে স্বল্প সময়ে ফাইল ডাউনলোড হয়।
  • নোটিফিকেশন সিস্টেম: EagleGet ব্যবহার করে কোনো ফাইল ডাউনলোড করলে, ডাউনলোড শেষে বা ডাউনলোডে কোনো প্রকার সমস্যা হলে তা নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়।
  • ইনবিল্ট ব্রাউজার ইন্টিগ্রেশন: এটি Chrome, Firefox, Opera সহ বিভিন্ন ব্রাউজারে ইন্টিগ্রেট করা যায় যা এর একটি বিশেষ সুবিধা।
  • প্যাচ বা আপডেট ম্যানেজার: EagleGet এর আরেকটি বিশেষ সুবিধা হল এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্যাচ বা আপডেট ডাউনলোড এবং ইনস্টল করতে পারে।
  • ডাউনলোড লিংক: EagleGet



৪. Xtreme Download Manager (XDM)

Xtreme Download Manager বা XDM হল একটি জনপ্রিয় ও শক্তিশালী ডাউনলোড ম্যানেজার যা IDM এর বিকল্প হিসাবে বিশেষ ভাবে বিবেচিত হতে পারে। এটি বিভিন্ন ফিচার সম্বলিত এবং এর বিশেষ সুবিধা হল এটি ব্যবহার করা খুবই সহজ। 


প্রধান ফিচার সমূহ:

  • ফাস্ট ডাউনলোড স্পিড: XDM ডাইনলোড ম্যানেজার ফাইলকে ডাউনলোড করতে সয়ংক্রিয় পদ্ধতি ব্যবহার করে দ্রুত ডাউনলোড স্পিড প্রদান করে ফলে যেকোনো ফাইল দ্রুত ডাউনলোড হয়।
  • ভিডিও ডাউনলোড সমর্থন: এটি অনলাইনের বিভিন্ন ভিডিও সাইট থেকে দ্রুত ভিডিও ডাউনলোড করতে পারে।
  • ব্রাউজার ইন্টিগ্রেশন: এটি বিভিন্ন ব্রাউজার যেমন, Chrome, Firefox সহ অন্যান্য জনপ্রিয় ব্রাউজারে ইন্টিগ্রেট করা যায়।
  • ভিডিও কনভার্টার: XDM ফাইল কনভার্টার হিসেবে কাজ করতে পারে। এটি ডাউনলোড করা ভিডিওকে বিভিন্ন ফরম্যাটে সহজেই কনভার্ট করতে পারে।
  • ফ্ল্যাশ ভিডিও ক্যাপচার: এটি ফ্ল্যাশ ভিডিও ক্যাপচার করতে পারে।
  • ডাউনলোড রিজিউম: ফাইল ডাউনলোড করার সময়ে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও তা রিজিউম আকারে থাকে ফলে ফাইলের আনডাউনলোড থাকা অংশ পরে সহজেই ডাউনলোড করা যায়।
  • ব্যাচ ডাউনলোডিং: XDM এর মাধ্যমে একসাথে একাধিক ফাইল ডাউনলোড করা যায় যা IDM এর মতই বিশেষ একটি সুবিধা।
  • ফাইল অর্গানাইজার: এটি ডাউনলোড করা ফাইলগুলিকে অটোমেটিকভাবে সঠিক ভাবে অর্গানাইজ করতে পারে।
  • ডাউনলোড লিংক: Xtreme Download Manager


৫. uGet Downloader

uGet একটি ওপেন সোর্স বা একদম ফ্রি একটি ডাউনলোড ম্যানেজার যা IDM এর একটি উপযুক্ত বিকল্প হিসেবে নেওয়া যেতে পারে। এটি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে উপলব্ধ এবং সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাওয়া যায়। নিম্নে এর সুবিধাবলি তুলেধরা হল।


প্রধান ফিচার সমূহ:

  • একাধিক প্রোটোকল সমর্থন: uGet HTTP, HTTPS, FTP, BitTorrent সহ বিভিন্ন প্রোটোকল সমর্থন করে যা এর একটি বিশেষ সুবিধা।
  • ক্লিপবোর্ড মনিটরিং: এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্লিপবোর্ড থেকে ডাউনলোড লিঙ্ক সংগ্রহ করতে পারে।
  • ডাউনলোড ক্যাটালগিং: এটি ডাউনলোড করা ফাইলগুলিকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অর্গানাইজ করতে পারে যা IDM এর মতই কাজ করে।
  • লাইটওয়েট এবং দ্রুত:  IDM এর মতই এটি লাইটওয়েট এবং দ্রুত ডাউনলোড স্পিড প্রদান করতে সক্ষম যা দ্রুত ডাউনলোড নিশ্চিত করে।
  • ডার্ক মোড সাপোর্ট: ব্যবহারকারীর সুবিধার্থে এতে থিম চেঞ্জিং অপশন রয়েছে যার মাধ্যমে ডার্ক মোড চালু করে এটি ডার্ক মোডে কাজ করতে পারে।
  • ব্যাচ ডাউনলোড: uGet এর মাধ্যমে একসাথে একাধিক ফাইল ডাউনলোড করা যায় যা IDM এর বিকল্প সিস্টেম।
  • রিজিউম বা পুনরায় চালু করা: কোনো কারনে ডাউনলোড বিচ্ছিন্ন হলে বা নেট সমস্যায় ডাউনলোড বন্ধ হয়ে গেলে, নেট সমস্যা দূর হলে রিজিউম সিস্টেমের মাধ্যমে পুনরায় ডাউনলোড শুরু করা যায়।
  • শিডিউলার: ডাউনলোড লিংক শিডিউল করার মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ে ডাউনলোড শুরু বা বন্ধ করা যায় যা IDM এর বিকল্প হিসেবে কাজ করে।
  • ডাউনলোড লিংক: uGet



আপনি যে সকল কারণে IDM এর বিকল্প ডাউনলোডার ব্যবহার করবেন:

IDM এর বিকল্প সফটওয়্যার ব্যবহার করার প্রধান কারণগুলির মধ্যে যা রয়েছে সেগুলো নিম্নরূপ:

  • সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড ম্যানেজার পাওয়া যায়: IDM এর এসকল বিকল্প সফটওয়্যার এর মাধ্যমে IDM এর মতোই অনেক ফিচার সম্বলিত ভালোমানের ডাউনলোড ম্যানেজার ফ্রি বা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাওয়া যায়।
  • বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম বা প্ল্যাটফর্মে উপলব্ধ: IDM।  এর বিকল্প এসকল ডাউনলোড ম্যানেজার Windows, Mac, Linux সহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সমর্থন করে ফলে সহজেই যে কোনো ধরনের কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইলে ইনেস্টল করা যায়।
  • উন্নত ফিচার সম্বলিত এবং ব্যবহার সহজ: IDM এর বিকল্প সফটওয়্যারগুলি উন্নত ফিচার সম্বলিত এবং সহজ ব্যবহারযোগ্যতা প্রদান করে, ফলে যে কেও এগুলো ডাউনলোড, ইনেস্টল ও সেটিং করতে পারে।
  • বিজ্ঞাপনমুক্ত সফটওয়্যার: IDM এর বেশিরভাগ বিকল্প সফটওয়্যার বিজ্ঞাপনমুক্ত হওয়ায়, ফ্রিতে বিজ্ঞাপন্মুক্ত সুবিধা পাওয়া যায়, ফলে ডাউনলোডের সময় বিরক্তি সৃষ্টি করে না।



যদিও IDM বা Internet Download Manager একটি শক্তিশালী এবং জনপ্রিয় ডাউনলোড ম্যানেজার, তবে এর বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও এটি ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে বাংলাদেশের মত বেশিরভাগ দেশের কম আয়ের লোকেরা এর বিকল্প খোঁজেন। উপরোক্ত পাঁচটি ডাউনলোড ম্যানেজার খুবি  জনপ্রিয় এবং কার্যকরী সফটওয়্যার যা IDM এর বিকল্প হিসেবে আপনারা ব্যবহার করতে পারেন বা সহজেই ব্যবহার করা যেতে পারে। উক্ত ডাউনলোড ম্যানেজার গুলোর প্রতিটি সফটওয়্যারের নিজস্ব কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিচার এবং সুবিধা রয়েছে যা বিভিন্ন ব্যবহারকারীর চাহিদা পূরণ করতে অনেকটাই সক্ষম। 


সুতারং, IDM এর বিকল্প ডাউনলোড ম্যানেজার সফটওয়্যারগুলি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করে দেখুন এবং আপনার ডাউনলোড সমস্যার সমাধান করে আজীবন ফ্রিতে ডাউনলোডের অভিজ্ঞতা উপভোগ করুন।




উৎস: এই আর্টিকেলটি লিখতে আমার নিজের লেখার পাশাপাশি এআই টেকনোলজির সাহায্য নেওয়া হয়েছে।

ডিলিটেড ফাইল রিকভারি: হার্ড ড্রাইভ থেকে ডাটা রিকভারি করার সহজ উপায়

ডাটা রিকভারি: মুছে ফেলা ফাইল থেকে তথ্য পুনরুদ্ধারের সহজ পদক্ষেপ


এখানে যা থাকছে---

  • data recovery
  • file recovery
  • data retrieval
  • recover lost data
  • মুছে ফেলা ফাইল রিকভারি
  • তথ্য পুনরুদ্ধার সফটওয়্যার
  • ডিলিট হওয়া তথ্য ফিরে পাওয়ার উপায়

data recovery, file recovery, data retrieval, recover lost data, মুছে ফেলা ফাইল রিকভারি, তথ্য পুনরুদ্ধার সফটওয়্যার, ডিলিট হওয়া তথ্য ফিরে পাওয়ার উপায়
Easy Data Recovery

ডিলিটেড ফাইল রিকভারি এবং হার্ড ড্রাইভ থেকে ডাটা রিকভারি করার প্রক্রিয়া কখনোই সহজ ছিল না। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশল এবং সফটওয়্যারের সাহায্যে এটি সম্ভব। এই আর্টিকেলে, আমরা মুছে ফেলা ফাইল ফেরত আনার বিস্তারিত পদ্ধতি আলোচনা করবো।




ডাটা হারানো একটি বড় সমস্যা হতে পারে। ব্যবসায়িক ডাটা, ব্যক্তিগত ডকুমেন্ট, ছবি, ভিডিও - সবকিছুই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। একটি ভুল ক্লিক বা প্রযুক্তিগত সমস্যা আপনার ডাটাকে হারিয়ে দিতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, ডাটা রিকভারির প্রক্রিয়া জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।



হার্ড ড্রাইভ থেকে ডাটা রিকভারি করার প্রাথমিক পদক্ষেপ


১. রিসাইকেল বিন চেক করুন

প্রথমেই রিসাইকেল বিন চেক করুন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে, মুছে ফেলা ফাইলগুলি রিসাইকেল বিনে সেভ হয়। যদি ফাইলটি সেখানে পাওয়া যায়, তবে সেটি পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।



২. ব্যাকআপ পুনরুদ্ধার করুন

যদি আপনি নিয়মিত ব্যাকআপ নিয়ে থাকেন, তাহলে সেখান থেকে ফাইলগুলো রিকভার করতে পারেন। উইন্ডোজ এবং ম্যাক উভয় প্ল্যাটফর্মেই ব্যাকআপ ফিচার রয়েছে যা আপনার হারানো ডাটা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে পারে।



৩. ডেটা রিকভারি সফটওয়্যার ব্যবহার করুন

যদি রিসাইকেল বিন এবং ব্যাকআপ থেকে ফাইল পুনরুদ্ধার করা সম্ভব না হয়, তাহলে ডেটা রিকভারি সফটওয়্যার ব্যবহার করুন। কিছু জনপ্রিয় সফটওয়্যারের মধ্যে রয়েছে:


- EaseUS Data Recovery Wizard: EaseUS Data Recovery Wizard ডাউনলোড

- Recuva: Recuva ডাউনলোড

- Disk Drill: Disk Drill ডাউনলোড



ডেটা রিকভারি সফটওয়্যার ব্যবহারের পদ্ধতি


১. সফটওয়্যার ডাউনলোড এবং ইন্সটল

প্রথমে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করুন। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করা উচিত যাতে এটি নিরাপদ থাকে।


EaseUS Data Recovery Wizard ডাউনলোড এবং ইন্সটল

  1. EaseUS ওয়েবসাইটে যান এবং "Free Download" বাটনে ক্লিক করুন।
  2. ডাউনলোড সম্পন্ন হলে ফাইলটি ওপেন করে ইন্সটল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন। 
  3. ইন্সটল শেষ হলে সফটওয়্যারটি চালু করুন।


Recuva ডাউনলোড এবং ইন্সটল

  1. Recuva ওয়েবসাইটে যান এবং "Download Free Version" বাটনে ক্লিক করুন। 
  2. ডাউনলোড সম্পন্ন হলে ইন্সটলেশন ফাইলটি ওপেন করে ইন্সটল করুন। 
  3. ইন্সটল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সফটওয়্যারটি চালু করুন।


Disk Drill ডাউনলোড এবং ইন্সটল

  1. Disk Drill ওয়েবসাইটে যান এবং "Download" বাটনে ক্লিক করুন। 
  2. ডাউনলোড সম্পন্ন হলে ফাইলটি ওপেন করে ইন্সটল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন। 
  3. ইন্সটলেশন শেষ হলে সফটওয়্যারটি চালু করুন।



২. হার্ড ড্রাইভ স্ক্যান করুন

সফটওয়্যারটি চালু করে হার্ড ড্রাইভটি নির্বাচন করুন এবং স্ক্যান করুন। স্ক্যান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কিছু সময় লাগতে পারে।


EaseUS Data Recovery Wizard ব্যবহার করে স্ক্যান

  1. সফটওয়্যারটি চালু করুন এবং যে ড্রাইভ থেকে ডাটা রিকভার করতে চান সেটি নির্বাচন করুন। 
  2. "Scan" বাটনে ক্লিক করুন এবং সফটওয়্যারটি স্ক্যান করতে দিন। 
  3. স্ক্যান সম্পন্ন হলে, আপনি প্রিভিউ দেখতে পারবেন।


Recuva ব্যবহার করে স্ক্যান

  1. সফটওয়্যারটি চালু করুন এবং "Wizard" মোড নির্বাচন করুন। 
  2. যে ধরনের ফাইল রিকভার করতে চান তা নির্বাচন করুন (উদাহরণস্বরূপ, ছবি, ডকুমেন্ট)। 
  3. যে ড্রাইভ থেকে ফাইল রিকভার করতে চান তা নির্বাচন করুন এবং "Start" বাটনে ক্লিক করুন।


Disk Drill ব্যবহার করে স্ক্যান

  1. সফটওয়্যারটি চালু করুন এবং হার্ড ড্রাইভটি নির্বাচন করুন। 
  2. "Recover" বাটনে ক্লিক করুন এবং সফটওয়্যারটি স্ক্যান করতে দিন। 
  3. স্ক্যান সম্পন্ন হলে, আপনি রিকভার করতে চান এমন ফাইলগুলির প্রিভিউ দেখতে পারবেন।



৩. রিকভার করতে চান এমন ফাইলগুলি নির্বাচন করুন

স্ক্যান সম্পূর্ণ হলে, রিকভার করতে চান এমন ফাইলগুলি নির্বাচন করুন। এই পর্যায়ে, আপনি ফাইলগুলির প্রিভিউ দেখতে পারেন যা আপনার সঠিক ফাইলগুলি নির্বাচন করতে সহায়তা করবে।



৪. ফাইল সেভ করুন

ফাইলগুলি পুনরুদ্ধার করুন এবং সেগুলি একটি সুরক্ষিত স্থানে সেভ করুন।



ডাটা রিকভারি পরবর্তী পদক্ষেপ

ডাটা রিকভারির পর, কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখা উচিত:


১. নিয়মিত ব্যাকআপ নিন

ডাটা হারানোর ঝুঁকি কমানোর জন্য নিয়মিত ব্যাকআপ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কিছু ব্যাকআপ পদ্ধতি আলোচনা করা হলো:


ক্লাউড ব্যাকআপ

ক্লাউড ব্যাকআপ একটি জনপ্রিয় ও নিরাপদ পদ্ধতি। ক্লাউড স্টোরেজ সার্ভিসগুলির মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার গুরুত্বপূর্ণ ডাটা ব্যাকআপ রাখতে পারেন। কিছু জনপ্রিয় ক্লাউড ব্যাকআপ সার্ভিসের মধ্যে রয়েছে:

- Google Drive: Google Drive

- Dropbox: Dropbox

- OneDrive: OneDrive


ক্লাউড স্টোরেজের সুবিধা হলো, আপনার ডাটা ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে যেকোনো জায়গা থেকে অ্যাক্সেস করা সম্ভব এবং এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হয়।


এক্সটার্নাল হার্ড ড্রাইভ

এক্সটার্নাল হার্ড ড্রাইভে ডাটা ব্যাকআপ রাখা একটি সহজ ও কার্যকর পদ্ধতি। একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর ডাটা ব্যাকআপ নিয়ে রাখলে আপনি সহজেই আপনার গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো রক্ষা করতে পারবেন।


ব্যাকআপ নিতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:

  1. একটি নির্ভরযোগ্য এক্সটার্নাল হার্ড ড্রাইভ কিনুন। 
  2. এক্সটার্নাল হার্ড ড্রাইভটি কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত করুন। 
  3. ফাইল এবং ফোল্ডারগুলি এক্সটার্নাল হার্ড ড্রাইভে কপি করে রাখুন।


ব্যাকআপ সফটওয়্যার

বিভিন্ন ধরনের ব্যাকআপ সফটওয়্যার রয়েছে যা আপনার ডাটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাকআপ রাখতে সক্ষম। কিছু জনপ্রিয় ব্যাকআপ সফটওয়্যার হলো:

- Acronis True Image: Acronis True Image

- EaseUS Todo Backup: EaseUS Todo Backup


ব্যাকআপ সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় ব্যাকআপ শিডিউল করা যায় যা নিয়মিত আপনার ডাটা ব্যাকআপ নিতে সক্ষম।



২. ভাইরাস প্রোটেকশন ব্যবহার করুন

হার্ড ড্রাইভকে সুরক্ষিত রাখার জন্য ভাল মানের অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন। এটি আপনার ডাটাকে ম্যালওয়্যার ও ভাইরাসের আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখবে।



৩. সঠিকভাবে ফাইল ম্যানেজ করুন

ফাইল ম্যানেজমেন্টের সঠিক নিয়ম অনুসরণ করুন যাতে গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলি হারিয়ে না যায়। ফাইলগুলি নির্দিষ্ট ফোল্ডারে সংরক্ষণ করুন এবং নিয়মিত ডকুমেন্টেশনের প্র্যাকটিস করুন।



কিছু সাধারণ ভুল যা ডাটা রিকভারি করার সময় এড়িয়ে চলা উচিত


১. হার্ড ড্রাইভে নতুন ডাটা লেখা

যদি আপনি হার্ড ড্রাইভ থেকে ডাটা রিকভার করতে চান, তবে সেখানে নতুন ডাটা লেখা এড়িয়ে চলুন। এটি পুরনো ডাটা ওভাররাইট করতে পারে এবং রিকভারি প্রক্রিয়া কঠিন করে তুলতে পারে।"



২. অবৈধ সফটওয়্যার ব্যবহার

অবৈধ বা ফ্রি সফটওয়্যার ব্যবহার করে ডাটা রিকভারি করা এড়িয়ে চলা উচিত। এসব সফটওয়্যার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিরাপদ নয় এবং এতে আপনার ডাটার গোপনীয়তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। নির্ভরযোগ্য এবং পরিচিত সফটওয়্যার ব্যবহার করুন যা প্রামাণিক উৎস থেকে ডাউনলোড করা হয়েছে।



৩. হার্ড ড্রাইভে ফিজিক্যাল ড্যামেজ সৃষ্টি করা

যদি আপনার হার্ড ড্রাইভে শারীরিক ক্ষতি হয়ে থাকে, তবে নিজে রিকভারি প্রক্রিয়া করার চেষ্টা না করাই উত্তম। এর পরিবর্তে, পেশাদার ডাটা রিকভারি সেন্টারের সহায়তা নিন। ফিজিক্যাল ড্যামেজড ড্রাইভে নিজে কাজ করলে ড্রাইভটি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং ডাটা সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে যেতে পারে।



৪. প্রয়োজনীয় ডাটা না রিকভার করা

ডাটা রিকভারি সফটওয়্যার ব্যবহারের সময় প্রাথমিকভাবে প্রিভিউ দেখতে ভুলবেন না। এতে করে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে প্রয়োজনীয় ফাইলগুলি রিকভার করা হচ্ছে। ভুল ফাইল রিকভার করা হলে, গুরুত্বপূর্ণ ডাটা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নাও হতে পারে।



ডিলিটেড ফাইল রিকভারি এবং হার্ড ড্রাইভ থেকে ডাটা রিকভারি করার প্রক্রিয়া সঠিক পদ্ধতি এবং নির্ভরযোগ্য সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে সম্ভব। নিয়মিত ব্যাকআপ নেওয়া, ভাইরাস প্রোটেকশন ব্যবহার এবং সঠিক ফাইল ম্যানেজমেন্ট নিয়ম অনুসরণ করে আপনি ডাটা হারানোর ঝুঁকি কমাতে পারেন। কোনো সমস্যায় পড়লে নির্ভরযোগ্য ডাটা রিকভারি সফটওয়্যার ব্যবহার করুন এবং প্রয়োজনে টেকনিশিয়ান এর সহায়তা নিন।



উৎস: এই আর্টিকেলটি লিখতে আমার নিজের লেখার পাশাপাশি এআই টেকনোলজির সাহায্যে নেওয়া হয়েছে।