শুক্রবার

অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নিয়ম

অ্যাসাইনমেন্ট বা এসাইনমেন্ট কি, নিয়ম ও উদাহরণ


  • অ্যাসাইনমেন্ট বা এসাইনমেন্ট  কি
  • অ্যাসাইনমেন্ট তৈরির উপকরণ
  • অ্যাসাইনমেন্ট তৈরির প্রাথমিক কার্যাদি 
  • অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নিয়ম 
  • অ্যাসাইনমেন্ট এর নমুনা বা উদাহরণ


অ্যাসাইনমেন্ট বা এসাইনমেন্ট  কি, তৈরির নিয়ম, নমুনা ও উদাহরণ
 অ্যাসাইনমেন্ট


শিক্ষা ব্যবস্থায় অ্যাসাইনমেন্ট বা এসাইনমেন্ট একটি গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়। বিশ্লেষণাত্মক ও গবেষণা মূলক শিক্ষা কার্য্যক্রমের মাধ্যমে বাস্তব ধর্মি জ্ঞানার্জনে অ্যাসাইনমেন্ট একটি বড় ভূমিকা পালন করে।



অ্যাসাইনমেন্ট বা এসাইনমেন্ট কিঃ

অ্যাসাইনমেন্ট মূলত একটি গবেষণা পত্র বা কার্য্য পত্র। কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর পাঠ্যবিষয়ক ও পারিপার্শ্বিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে যুক্তি নির্ভর বিশ্লেষণ ও গবেষণার মাধ্যমে ফলাফল যাচাই ও উপাস্থাপন করার কার্য্যক্রম বা কার্য্য পত্র কেই অ্যাসাইনমেন্ট বা এসাইনমেন্ট বলে।



অ্যাসাইনমেন্ট তৈরির উপকরণঃ

একটি সুন্দর, বাস্তব নির্ভর বা ভালো অ্যাসাইনমেন্ট তৈরির জন্য নিম্নোক্ত উপকরণ সংগে থাকা আবশ্যক।

  • ১. এ৪ সাইজের কিছু সাদা কাগজ। 
  • ২. কালো বলপয়েন্ট বা কলম। 
  • ৩. সবুজ রঙের মার্কার কলম। 
  • ৪. একটি রুলার বা স্কেল। 
  • ৫. বিষয় নির্ভর মূল বই। 
  • ৬. বিষয় নির্ভর গাইড, পত্রিকা বা তথ্যাদি। 
  • ৭. ইন্টারনেট সংযোগকৃত মোবাইল বা কম্পিউটার।


অ্যাসাইনমেন্ট তৈরির প্রাথমিক কার্যাদিঃ

অ্যাসাইনমেন্ট তৈরিতে প্রাথমিক ভাবে যে সকল বিষয় খুব গুরুত্ব ও মনযোগ সহকারে সম্পাদন করতে হবে তা নিম্নরূপ-

  • ১. অ্যাসাইনমেন্ট এর জন্য নির্ধারিত বিষয় ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে। 
  •  ২. সংগ্রহকৃত বই, পত্রিকা বা তথ্যাদি থেকে বিষয় সম্পর্কিত তথ্যাদি বাছাই ও চিহ্নিত করতে হবে। 
  • ৩. মার্কার কলম ও স্কেল ব্যবহার করে এ৪ সাইজের কাগজে সুন্দর করে মার্জিন আঁকতে হবে।


এ৪ সাইজের কাগজে অ্যাসাইনমেন্ট এর বিষয় লিখার নিয়মঃ

অ্যাসাইনমেন্ট এর কভার বা প্রথম পৃষ্ঠায় যা লিখতে হবে-

খাতার উপর মাঝামাঝি জায়গাতে মার্কার কলম দিয়ে বড় করে লিখতে হবে, "অ্যাসাইনমেন্ট"। এর পর নিচে মার্কার কলম দিয়ে বিদ্যালয়ের নাম। তার নিচে বিদ্যালয়ের ঠিকানা। মার্কার কলম দিয়ে নিজ নাম, শ্রেনী, রোল, শাখা, মোবাইল নং। মার্কার কলম দিয়ে বিষয়ের নাম ও শিরণাম বা সূচীপত্র। অ্যাসাইনমেন্ট প্রদানকারী শিক্ষকের নাম ও পদবী। অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার তারিখ।



অ্যাসাইনমেন্ট এর মূল পৃষ্ঠায় লিখার নিয়মঃ

ভূমিকা অংশ- এই অংশে বিষয় সম্পর্কিত ভূমিকা উপস্থাপন করতে হবে। সংক্ষেপে বিষয়ের উপর আলোকপাত করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতি বা গুরুত্ব সংক্ষিপ্ত ভাবে এই অংশে তুলে ধরা যেতে পারে।


বর্ণনা অংশ- বিষয় সম্পর্কিত তথ্যাদি উপস্থাপন, বিশ্লেষণ, পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ, এবং তথ্য প্রমাণের মাধ্যমে বিষয় সম্পর্কিত আলোচনা এই অংশের প্রধান আলোচ্য বিষয়। অপ্রাসঙ্গিক কিছু অন্তর্ভুক্ত না করে বিষয় ভিত্তিক আলোচনা প্রমাণ ও যুক্তির মাধ্যমে উপাস্থাপন করতে হবে।


উপসংহার অংশ- এই অংশে বিষয়ের উপসংহার টানতে হবে। সাধারন্ত বিষয়টি বিশ্লেষণ ও বর্ণনা করে যে ফলাফল পাওয়া গেল সেটি সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরতে হবে। ভবিষ্যতে বিষয়টি কিরূপ ফল আনবে সেটিও তুলে ধরা যেতে পারে।



অ্যাসাইনমেন্ট এর নমুনা বা উদাহরণঃ


(কভার পৃষ্ঠার নমুনা)

অ্যাসাইনমেন্ট
এডভান্স টিচিং সেন্টার, টিচিং পাড়া, বাংলাদেশ। 
অ্যাসাইনমেন্ট নং-১

উপস্থাপনায়ঃ
শিক্ষার্থীর নামঃ রোদেলা মাহমুদ
শ্রেণীঃ ৯ম
বিভাগঃ বানিজ্য
রোলঃ
মোবাইল নংঃ +৮৮০১৩০৩৬২১৫২২

বিষয়ঃ বাংলা ১ম
বিষয়ের শিরনামঃ খিচুড়ি রান্নার পদ্ধতি

প্রণয়নকারী ও তত্ত্বাবধায়কঃ
শিক্ষকের নামঃ কে-মাহমুদ।
শিক্ষকের পদবীঃ ব্যবস্থাপক, এডভান্স টিচিং সেন্টার



জমাদানের তারিখঃ ০৫-১১-২০২০ ইং


------------------------- ------------------------- -------------------------
(ভিতরের পৃষ্ঠার নমুনা)


বিষয়ের শিরণামঃ খিচুড়ি রান্নার পদ্ধতি।



আজকের রান্নার বিষয় - খিচুড়ি।


খিচুড়ি উপমহাদেশ এমনকি বাংলাদেশের একটি মজাদার ও জনপ্রিয় খাবার। আমারা ব্যস্ততম জীবনে হয়তো দ্রুত ও মজাদার রান্না সচরাচর রেধে উঠতে পারি না। মজাদার আর ঝটপট রান্নায় খিচুড়ি হতে পারে অন্যতম একটি সুস্বাদু খাবার। অনেকেই হয়ত ভালো রাধতে পারি না কিন্তু খিচুড়ি রান্না এতই সোজা যে, যে কেও খুব সহজেই দ্রুত এটি রেধে ফেলতে পারে। আর বৃষ্টির দিনে সুস্বাদু খাবার হিসাবে খিচুড়ি ছাড়া যেন বাঙালী হৃদয় পূর্ণতা পায় না।



স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ
খিচুড়ি খুবি সাধারণ ও জনপ্রিয় খাবার যা সকল বয়সের জন্য স্বাস্থ্যকর। যারা ডায়েট কন্ট্রল করে তাদের খাবার তালিকার একটি পুষ্টিকর খাবা র হতে পারে খিচুড়ি। খিচুড়ি রান্না খুবি সোজা, দ্রুত রান্না যায় এবং সুস্বাদু ও বটে, তাই ব্যাচেলর দের ঝট পট রান্না ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এটি একটি উত্তম খাবার।


তাহলে খিচুড়ি রান্নার উপকরণ ও পদ্ধতি গুলো জেনে নেওয়া যাক-----


 খিচুড়ি রান্নার উপকরণঃ
  • ১. চাল - ১ কাপ
  • ২. ডাল - ১ কাপ [মুগ ডাল/মুসুড়ি ডাল হলে ভালো হয়] 
  • ৩. আস্ত জিরা - ১ চা-চামচ 
  • ৪. শুকনো মরিচ - ২ টি 
  • ৫. তেজপাতা - ২ টি [না হলেও চলবে] 
  • ৬. পিয়াজ কুচি - বড় ১ টি 
  • ৭. আদা বাটা - ১ চা-চামচ 
  • ৮. হলুদ গুড়ো - ১/২ চা-চামচ 
  • ৯. মরিচের গুড়ো - ১/৪ চা-চামচ 
  • ১০. জিরা গুড়া - ১/৪ চা-চামচ 
  • ১১. চিনি - ১ চা-চামচ [না হলেও চলবে] 
  • ১২. তেল - ২ টেবিল-চামচ 
  • ১৩. গরমমসলা গুড়ো - ১ চা চামচ 
  • ১৪. লবন স্বাদ অনুযায়ী 

রন্ধন প্রণালীঃ
  • ১. ডাল ও চাল এক সাথে মিশিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে ৩০ মিনিট রাখতে হবে।
  • ২. হাড়িতে পানি গরম করে অন্য পাত্রে উঠিয়ে রাখতে হবে। 
  • ৩. হাড়িতে অল্প তেল দিয়ে গরম করে তার মাঝে ডাল-চাল ছেড়ে হালকা ভেজে অন্য পাত্রে উঠিয়ে রাখতে হবে। 
  • ৪. হলুদ গুড়ো, মরিচের গুড়ো এবং জিরা গুড়ো মিশিয়ে অল্প পানি দিয়ে পেস্ট করতে হবে। 
  • ৫. হাড়িতে বাকি তেল ঢেলে গরম করে নিতে হবে। 
  • ৬. গরম তেলে শুকনো মরিচ ও আস্ত জিরা ছেড়ে দিতে হবে।
  • ৭. চট পট শব্দ শুরু হলে আদা বাটা ও পিয়াজ কুচি ছেড়ে হালকা বাদামী করে ভাজতে হবে। 
  • ৮. তেজ পাতা ও আগে থেকে পেস্ট করে রাখা মসলা ঢেলে হালকা আচে দু-মিনিট নাড়তে হবে। 
  • ৯. ডাল-চাল ঢেলে আরো দু-মিনিট নাড়তে হবে। 
  • ১০. লবন, চিনি ও চার কাপ গরম পানি যোগ করে নাড়তে হবে। 
  • ১১. চাল সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রান্না করতে হবে, পানি লাগলে গরম পানি যোগ করতে হবে এবং ঢেকে রাখতে হবে। 
  • ১২. চুলা বন্ধ করে দিতে হবে এবং গরমমসলা গুড়ো ছড়িয়ে হালকা নেড়ে ৩০ মিনিট ডেকে রাখতে হবে। 
  • ১৩. যে কোন আচার বা মুরগীর রোস্ট বা ডিম ভাজি সহ গরম গরম পরিবেশন করতে হবে। 


খিচুড়ি রান্নার অনেক পদ্ধতি রয়েছে। শাকসবজি বা আলু সহ খিচুড়ি রান্না অনেকেই পছন্দ করে। পুষ্টিকর খাবার হিসাবে খিচুড়ি যেমন জনপ্রিয় তেমনি জনপ্রিয় ঝট-পট রান্নায়। খিচুড়ি প্রতিটি বাঙালীর পছন্দের ও অতি প্রিয় খাবার।



----------------------- ----------------------- 


তাহলে আজ এ পর্যন্তই আশাকরি সকলে অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নিয়ম সম্পর্কে ধরনা পেয়েছি। এখন আরো সুন্দর আরো বস্তুনিষ্ঠ অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে পারব। ভালোফল করার জন্য চাই ভালো কৌশল। অ্যাসাইনমেন্ট তৈরিতে আমাদের কৌশলী হওয়ার পাশাপাশি মনোযোগী হতে হবে।



কোন প্রকার সমস্যা হলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানালে খুশি হব। 



সকলের শুভকামনায়- 

কে-মাহমুদ

21 comments

ঢাবি অধিভুক্ত তিতুমীর কলেজের ইংরেজি ডিপার্টমেন্টের অ্যাসাইনমেন্ট দিতে পারবেন কি?

ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য। হ্যা বন্ধু আমরা আপনাকে ইংরেজিতে এসাইনমেন্ট এর নমূনা দিতে পারবো। আর এসাইমেন্ট নিজের ইচ্ছা মতো যত্ন সহকারে নিজের কারুকার্য দিয়ে তৈরী করা উচিৎ। তাই কোন বিশেষ কলেজ নয় আপনি নিজের মতো করে এটি তৈরি করলেও হবে। আপনার কবে এটি লাগবে নাম সহ কমেন্ট করে জানালে আমরা দ্রুত ইংরেজী এসাইমেন্ট এর নমূনা আপনাকে দিবো এবং সাইটে প্রকাশ করবো।

আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

খাতায় মার্জিন দুই পাশে টানবো না চারপাশে টানবো???

আপনি মনের মত করে ডিজাইন করতে পারেন। তবে আমার মতে খাতার চারিপাশে মার্জিন টানলে সুন্দর দেখাবে বলেই আমার মনে হয়।

এসাইনমেন্টে কি প্রশ্ন লিখার প্রয়োজন আছে?

এসাইনমেন্ট এ প্রশ্ন লিখতে হয় না। তবে বিষয়ের শিরনাম লিখতে হবে। কভার পেজে ও পৃষ্টা সহ বিষয়ের শিরনাম লিখতে হবে। উপরের নমূনা দেখুন।

নামহীন delete ২১ মার্চ

যদি এসাইনমেন্টে সৃজনশীল প্রশ্ন থাকে তাহলে বিষয়ের শিরোনামটি কিভাবে লিখবো?

এসাইনমেন্ট এর জায়গায় অমুক সপ্তাহের এসাইনমেন্ট লেখা যাবে?

ধন্যবাদ প্রশ্ন করার জন্য----

যেখানে এসাইনমেন্ট নং--- লেখা আছে সেই ঘরে এসাইনমেন্ট নং এর পাশে আপনি নিচের নিয়মে লিখতে পারেন,
এসাইনমেন্ট নং--৫ (৭ম সপ্তাহ)


1timeschool.com এর পক্ষে,
রোদেলা

A4 page er 2 side e ki likha jabe???

আল্পতে সুন্দর

A4 সাইজের কাগজের এক পাশে লিখা ভালো তবে কোনো প্রতিষ্ঠান দু পাশে লিখতে বললে লিখা যেতে পারে-----

1timeschool.com এর পক্ষে,
রোদেলা

Assignment A4 page er 2 side e likhle ki kono problem hobe?ai bisoy e shikkha montronaloy kicu bolche?

এসাইনমেন্ট A4 কাগজের এক পিঠ বা উভয় পিঠে লেখার নিয়ম সম্পর্কে মন্ত্রণালয় কিছু বলে নি। তবে এসাইনমেন্ট কে সঠিক ও সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য এক পিঠে এসাইনমেন্ট লেখা উচিত।


1timeschool.com এর পক্ষে,
রোদেলা

Assignment khata marjing ek pase kre table ki Kono problem ase

Assignment kromik number baglai likhle r assignment khata marjing uvoy saige na tene ek saige tanle ki Kono problem hbe

এসাইনমেন্ট খাতায় মার্জিন একপাশে টানলেও সমস্যা নেই - যে ভাবে মার্জিন টানলে সুন্দর দেখায়, সে ভাবেই মার্জিন টানুন।

এসাইনমেন্ট ইংরেজিতে হলে খাতার ক্রমিক নং ইংরেজিতে দেওয়ায় ভালো আর বাংলায় হলে ক্রমিক বাংলাতেই দেবেন। খাতায় মার্জিন এক পাশে দিলেও হবে, যে ভাবে মার্জিন টানলে বেশি সুন্দর দেখায় মার্জিন সে ভাবেই টানুন।

আমাকে ফোন করে এক ভাইয়া জানতে চেয়েছেন যে এসাইনমেন্ট এর মার্জিন নীল মার্কার দিয়ে টানা যাবে কি না?

উত্তরে আমি বলবো যে টানা যাবে তবে না টানাই ভালো কারণ নীল রঙ খারাপের প্রতীক। আর হ্যা অন্য যে রঙ এ টানতে পারেন তবে লাল রঙ এ কখনোই নয়।

ধন্যবাদ
1timeschool.com এর পক্ষে,
রোদেলা

এ৪ সাইজের খাতার উভয় দিকে কি মার্জিন টানা যায়?

এ৪ সাইজের কাগজের এক পৃষ্ঠার এক পাশে অথবা চারি পাশে মার্জিন কাটা যেতে পারে।

নিচের বক্সে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট আমাদের নিকট খুবি গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার কমেন্টের উত্তর আমরা যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব দিতে চেষ্টা করবো। আমাদের সাথেই থাকুন।
1timeschool.com
EmoticonEmoticon