রবিবার

কাস্টার্ড তৈরির সহজ রেসিপি

ফ্রুট কাস্টার্ড তৈরির নিয়ম ও উপকারিতা


এখানে যা থাকছে-

  • কাস্টার্ড তৈরির নিয়ম ও পদ্ধতি
  • কাস্টার্ড এর উপকারিতা
  • ফ্রুট কাস্টার্ড তৈরির রেসিপি
  • কাস্টার্ড পাউডার তৈরির নিয়ম ও ব্যবহার

কাস্টার্ড তৈরির নিয়ম ও পদ্ধতি, কাস্টার্ড এর উপকারিতা, ফ্রুট কাস্টার্ড রেসিপি, কাস্টার্ড পাউডার তৈরির নিয়ম ও ব্যবহার, বাড়িতে হোম মেড কাস্টার্ড পাউডার
ফ্রুট কাস্টার্ড রেসিপি



ভূমিকাঃ

কাস্টার্ড একটি জনপ্রিয় ও মজাদার সুস্বাদু রেসিপি। শুধু বড়দের নয় শিশু দের ফলাহার ঠিক রাখতে কাস্টার্ড হতে পারে একটি অন্যতম উপায়। সাধারন্ত দুধ, মিষ্টি, পনির, চিনি মিশ্রিত মিষ্টান্ন কে কাস্টার্ড বা Custard বলে। নানান ফলের মিশ্রণ যোগে তৈরি ফ্রুট কাস্টার্ড যেন স্বাদে আর রসে অতিথি আপপায়নের অন্যতম উপকরণ। আমাদের আজকের রেসিপি ফ্রুট কাস্টার্ড। মজাদার আর সুস্বাদু রেসিপিটি আশাকরি সকলের পছন্দের তালিকায় ঠায় পাবে।



ফ্রুট কাস্টার্ড এর উপকারিতাঃ

ফ্রুট কাস্টার্ড ফলের সমাহারে ভরপুর মজাদার রেসিপি। কাস্টার্ড খাওয়ার উপকারিতা অনেক।নানান ফলের মিশ্রণ একে করেছে ভিটামিন আর পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। তবে দুধ, ডিম, চিনির মিশ্রণ থাকায় ফ্যাটে ভরপুর ফ্রুট কাস্টার্ড। যারা ফ্যাট কন্ট্রল করতে চান বা ডায়াবেটিস রোগিদের জন্য ফ্রুট কাস্টার্ড না খাওয়া উত্তম। ফ্রুট কাস্টার্ড এক ধরনের রিস ফুড। এটি জাংক ফুডের অন্তর্গত। তবে বাচ্চাদের ফলে অরুচি দূরকরণে ফ্রুট কাস্টার্ড এক অনন্য পদ্ধতি। তাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় ফলাহারে অরুচি দূর করে পুষ্টি সরবরাহ ঠিক রাখতে ফ্রুট কাস্টার্ড এক মজার আর সুস্বাদু রেসিপি। বড়দেরো এটি একটি রুচিকর খাবার। আপেল কাস্টার্ড,  ব্যানানা কাস্টার্ড, এগ বা ডিমের কাস্টার্ড নিজের পছন্দ মতো তৈরি করে অতিথি আপপায়নে আনতে পারেন নতুনত্ব। ক্যালসিয়াম আর প্রোটিন এর অভাব পূরণে কাস্টার্ড অন্যতম রেসিপি যদিও অতিরিক্ত ক্যালরি ও ফ্যাট থাকায় সকলের জন্য এটি স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে। নিচে তুলে ধরা হলো মজাদার কাস্টার্ড রেসিপি - ফ্রুট কাস্টার্ড।



ফ্রুট কাস্টার্ড তৈরির উপকরণঃ

  • ১. আপেল,কলা,আনার,আঙ্গুর,খেজুর,কিসমিস বা নানান প্রকার ফল কুচি (তবে তরমুজ বা এমন রসালো ফল না থাকা ভালো) - পরিমাণ ২ কাপ।
  • ২. কাস্টার্ড পাউডার - ৩ টেবিল চামচ পরিমাণ। 
  • ৩. গরুর দুধ - এক লিটার পরিমাণ। 
  • ৪. ডিমের কুসুম - ২ টি কুসুম।
  • ৫. চিনি - আধাকাপ পরিমাণ বা স্বাদ মতো।
  • ৬. কিসমিস - ২ টেবিল-চামচ পরিমাণ।
  • ৭. কাঠবাদাম - ২ টেবিল-চামচ পরিমাণ (না হলেও চলবে)।



ফ্রুট কাস্টার্ড তৈরির সহজ নিয়মঃ

  • ১. একটি পাত্রে ডিমের কুসুম নিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিই।
  • ২. ফেটিয়ে নেওয়া ডিমের কুসুমের মাঝে কাস্টার্ড পাউডার দিয়ে এমন ভাবে বিট করি বা মিশায় যেনো কাস্টার্ড পাওডার ডিমের কুসুমের সাথে ভালোভাবে মিশে যায়।
  • ৩. চুলায় একটি পাত্র নিয়ে তাতে দুধ ও চিনি এক সাথে ঢেলে মাঝারি আচে জ্বাল দিয়ে দুধের পরিমাণ অর্ধেকে করে ফেলি, দুধ-চিনি এক সাথে জ্বাল দেওয়ার সময় বারবার নাড়াতে ভুলবেন না যেনো।
  • ৪. ডিমের কুসুম ও কাস্টার্ড পাউডারের মিশ্রণ আস্তে আস্তে দুধ-চিনির মাঝে ঢেলে দিই।
  • ৫. মিশ্রণটি ফুটে ওঠা পর্যন্ত বারবার নাড়তে থাকি এবং গাঢ় হয়ে ফুটতে থাকলে চুলা থেকে নামিয়ে একটি পাত্রে ঢেলে নিই।
  • ৬. পাত্রে থাকা ঘন মিশ্রণ স্বাভাবিক ভাবে ঠান্ডা হয়ে এলে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিই।
  • ৭. পরিবেশন বা খাবার আগে ফ্রিজ থেকে কাস্টার্ড মিশ্রণ নামিয়ে পরিবেশন বা খাবার পাত্রে ঢেলে এর মাঝে কিসমিস এবং কেটে রাখা ফল দিয়ে মিশিয়ে নিই, কাঠবাদাম থাকলে সেটাও মিশিয়ে নিই।
  • ৮. এবার পরিবেশন বা খাওয়া শুরু করি মজাদার ও সুস্বাদু ফ্রুট কাস্টার্ড। মনে রাখতে হবে খাওয়ার বেশিক্ষণ আগে বা পরিবেশনের অনেক আগে কাস্টার্ডে ফল কুচি মিশালে কাস্টার্ড পাতলা হয়ে যাবে ও ফলের স্বাদ খারাপ হয়ে যাবে, তাই ঠিক পরিবেশন বা খাওয়ার আগে কাস্টার্ডে ফল মিশাতে হবে।



দোকানে কাস্টার্ড পাউডার না পেলে বা কেও যদি ঘরোয়া ভাবে কাস্টার্ড পাওডার তৈরি করতে চান তবে নিচের রেসিপিটি আপনার জন্যে ---



কাস্টার্ড পাউডার তৈরির নিয়মঃ

কাস্টার্ড পাউডার কী বা কাস্টার্ড পাউডার কি দিয়ে তৈরি এটা জানা থাকলে বাজার মার্কেট বা দোকান থেকে কাস্টার্ড পাওডার কিনতে না পারলেও ঘরে বসেই তৈরি সম্ভব হোমমেড কাস্টার্ড পাউডার বা পাওডার। বাজারে কাস্টার্ড পাউডার দাম বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। ১০০ গ্রাম কাস্টার্ড পাউডারের দাম ৬০-৯০ টাকা এর মাঝে হতে পারে। আসুন জেনে নিই কাস্টার্ড পাউডার তৈরির উপকরণ বা পদ্ধতি বা কাস্টার্ড পাউডার তৈরির সহজ রেসিপি-

  • ১. কর্নফ্লাওয়ার বা ভুট্টার ময়দা বা বার্লি - এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ।
  • ২. খাবার রং বা ফুড কালার, হলুদ রং হলে ভালো হবে - চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ পরিমাণ।
  • ৩. চিনি - এক কাপ পরিমাণ বা স্বাদ মতো।
  • ৪. গুড়ো দুধ - এক কাপের চারভাগের এক ভাগ পরিমাণ।
  • ৫. ভ্যানিলা এসেন্স - ৪-৫ ফোটা মাত্র, বাজারে কিনতে পাওয়া যাবে।


উপরের সবগুলো উপাদান এক সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে ব্লেন্ডার মেশিন বা কোন কিছু দিয়ে গুঁড়ো বা মিহি করে ছাঁকনি দিয়ে ছেকে নিলেই পাওয়া যাবে কাস্টার্ড পাউডার।



ক্রেডিট ফর রেসিপি-

ইতি

২৮-০৩-২০২১


নিচের বক্সে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট আমাদের নিকট খুবি গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার কমেন্টের উত্তর আমরা যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব দিতে চেষ্টা করবো। আমাদের সাথেই থাকুন।
1timeschool.com
EmoticonEmoticon