সোমবার

প্রাপ্ত ঋণ ও প্রদত্ত ঋণ কাকে বলে

ঋণ কি - প্রাপ্ত ঋণ ও প্রদত্ত ঋণ বলতে কি বোঝায়


এখানে যা থাকছে---

  • প্রদত্ত ঋণ কি
  • প্রদত্ত ঋণ বলতে কি বোঝায়
  • প্রদত্ত ঋণ ও বিনিয়োগ কাকে বলে
  • প্রাপ্ত ঋণ ও প্রদত্ত ঋণের পার্থক্য

প্রদত্ত ঋণ কি, প্রদত্ত ঋণ বলতে কি বোঝায়, প্রদত্ত ঋণ ও বিনিয়োগ কাকে বলে, প্রাপ্ত ঋণ ও প্রদত্ত ঋণের পার্থক্য
প্রাপ্ত ঋণ ও প্রদত্ত ঋণ


ঋণ কি বা কাকে বলেঃ

হিসাববিজ্ঞানে ঋণ সম্পর্কিত ধারনা খুবি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ঋণ (Loan) বলতে সাধারণত দায় বা দেনা কে বোঝায়। আমরা অনেকেই হয়তো ব্যাংক ঋণ, কৃষি ঋণ, বৈদেশিক ঋণ, সরকারি ঋণ, বেসরকারি ঋণ, উদ্যোক্তা ঋণ, ক্ষুদ্র ঋণ, ব্যবসায়ী ঋণ, সমিতির ঋণ সহ নানারকম ঋণ এর নাম শুনেছি। ঋণ সম্পর্কে আমাদের ধারণা এমন যে সুদ প্রদানের বিনিময়ে কারো কাছ থেকে যে টাকা নেওয়া হয় তাকে ঋণ বলে। আমরা নানারকম সমিতি ও ব্যাংক থেকে নির্দিষ্ট সুদ দেওয়ার শর্তে যে অর্থ গ্রহণ করি সাধারণ অর্থে তাকে ঋণ বলে থাকি। কিন্তু আমরা কখনো এটা ভাবি না যে সমিতি বা ব্যাংকের নিকট হতে সুদের বিনিময়ে যে অর্থ নিলাম সেটা যদি ঋণ হয় তবে এই ঋণ কে সমিতি বা ব্যাংকের লোক কি বলে ডাকবে? তারাও কি একে ঋণ বলে ডাকবে? আমরা খেয়াল করলে লক্ষ্য করবো যে সমিতি থেকে আমরা টাকা নেওয়ার সময় সুদের বিনিময়ে যে অর্থ গ্রহণ করি তাকে "সমিতি থেকে ঋণ নিয়েছি" বলি আর একে সমিতির কোনো কর্মী বলে, " ঋণ দিয়েছি"। অর্থাৎ একি ঋণ এর দুটি নাম। ঋণ গ্রহণ করে সুদ দিতে হয় আর ঋণ কাওকে দিয়ে বা প্রদান করে সুদ পাওয়া যায়। ঋণ গ্রহণ করলে তাকে প্রাপ্ত বা গৃহিত বা গ্রহণকৃত ঋণ বলে অপর দিকে ঋণ প্রদান করলে তাকে প্রদত্ত ঋণ বা প্রদানকৃত ঋণ বলা হয়ে থাকে।



ঋণ এর পক্ষ সমূহঃ

ঋণ সাধারণত দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘটিত হয়ে থাকে। এক পক্ষ ঋণ গ্রহণ করে এবং অন্য পক্ষ ঋণ প্রদান করে। যে পক্ষ ঋণ গ্রহণ করে সেই পক্ষ নির্ধারিত সুদ প্রদান করতে রাজি হয়ে ঋণ প্রদানকারীর নিকট হতে ঋণ গ্রহণ করে থাকে। ঋণ গ্রহীতা যেহেতু ঋণ গ্রহণের বিনিময়ে সুদ প্রদান করে ফলে তার ব্যয় বা খরচ বেড়ে যায়। অপর দিকে লাভ বা সুদ বা মুনাফা পাওয়ার আশায় ঋণ প্রদানকারী ঋণ গ্রহীতা কে ঋণ প্রদান করে ফলে ঋণ প্রদানকারীর আয় বা মুনাফা বেড়ে যায়। সুতারং ঋণ এ দুটি পক্ষ থাকে, এক পক্ষ সুবিধ ভোগ করে এবং অপর পক্ষ সুবিধা প্রদান করে।



ঋণ এর প্রকারভেদঃ

ঋণ কে নানা ভাগে ভাগ করা যেতে পারে যেমন, প্রতিষ্ঠানিক ঋণ, অপ্রতিষ্ঠানিক বা ব্যক্তিগত ঋণ,  সরকারি ও বেসরকারি ঋণ, সল্প মেয়াদী ঋণ, মধ্যম মেয়াদী ঋণ, দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ, অব্যাবসায়ী ঋণ, ব্যবসায়ী ঋণ, বন্ধকী ঋণ ইত্যাদি। ঋণ গ্রহণ ও প্রদানের ভিত্তিতে ঋণ কে ২ ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে, যথা-

  • ১. প্রাপ্ত ঋণ
  • ২. প্রদত্ত ঋণ বা বিনিয়োগ



প্রাপ্ত ঋণ কি বা কাকে বলেঃ

প্রাপ্ত ঋণ এবং ঋণ একি জিনিস। কোথাও শুধু ঋণ লেখা থাকলে তাকে প্রাপ্ত ঋণ বা ঋণ গ্রহণ করা বোঝায়। অপরের অর্থ বা টাকা সুদ বা লাভ দেওয়ার শর্তে নির্দিষ্ট মেয়াদে নেওয়া কে প্রাপ্ত ঋণ বা ঋণ গ্রহণ বা ঋণ বলে। যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ঋণ গ্রহণ করে তাকে ঋণ গ্রহীতা বলে। যেহেতু অপরের টাকা পুনরায় ফেরত দিতে হবে তাই ঋণ বা প্রাপ্ত ঋণ এক ধরনের দায়। একে চলতি দায় বলে। অপরদিকে ঋণ গ্রহণের ফলে আসল টাকার চেয়ে বেশি যে পরিমাণ টাকা বা অর্থ সুদ প্রদান করতে হয় তা এক ধরনের ব্যয় বা খরচ। এ ধরণের খরচ কে ঋণের সুদ বা গৃহীত ঋণের প্রদত্ত সূদ বলা হয়ে থাকে।



প্রদত্ত ঋণ কি বা কাকে বলেঃ

প্রদত্ত ঋণ বলতে সুদ বা মুনাফা পাওয়ার শর্ত বা উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট মেয়াদে টাকা বা অর্থ কাওকে দেওয়া বা প্রদান করা কে বোঝায়। ঋণ প্রদান করলে ঋণ প্রদানকারীর টাকা ঋণ গ্রহীতার নিকট জমা থাকে যা ঋণ গ্রহীতা কিস্তি আকারে অথবা এককালীন শর্ত মতো সুদ সহ প্রদান করে। নিজের টাকা কারো কাছে তথা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট থাকা কে ব্যবসায়িক ভাষায় সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কে সম্পদ বলে বিবেচনা করা হয়। এর অন্যতম কারন হলো ঋণ গ্রহীতা অবশ্যই টাকা বা অর্থ ফেরত দেবে বলে ধরা হয়। অপর দিকে কাওকে অর্থ প্রদান কে ব্যবসায়িক ভাষায় বিনিয়োগ বলা হয়ে থাকে। তাই প্রদত্ত ঋণ কে বিনিয়োগ হিসাবে ধরা হয়। তাই মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কে ঋণ প্রদান কে বিনিয়োগ বলা হয়। প্রদত্ত ঋণ আর বিনিয়োগ একি জিনিস। প্রদত্ত ঋণ বা বিনিয়োগ এর অর্থ যেহেতু মেয়াদ শেষে ফেরত পাওয়া যাবে তাই একে সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি এক ধরনের চলতি সম্পদ। অন্যদিকে প্রদত্ত ঋণ বা বিনিয়োগ বা টাকা লাগানোর ফলে সুদ বা মুনাফা পাওয়া যায় যা এক ধরনের আয়। এ ধরনের আয় কে বিনিয়োগের সুদ বা প্রদত্ত ঋণের প্রাপ্ত সুদ বলা হয়ে থাকে।



প্রাপ্ত ঋণ, প্রদত্ত ঋণ ও বিনিয়োগের মধ্য সম্পর্কঃ

প্রাপ্ত ঋণ অর্থ কারো নিকট থেকে টাকা গ্রহণ করা। কিন্তু প্রদত্ত ঋণ অর্থ কাওকে টাকা প্রদান করা বা দেওয়া। প্রতিষ্ঠান কাওকে টাকা দিলে তাকে বিনিয়োগ বলা হয়ে থাকে তাই প্রদত্ত ঋণ কে বিনিয়োগ বলা হয়। অর্থাৎ প্রদত্ত ঋণের অপর নাম বিনিয়োগ। কিন্তু প্রাপ্ত ঋণ বা কারো কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করলে তাকে কখনোই বিনিয়োগ বলা যাবে না। প্রাপ্ত ঋণের ফলে প্রতিষ্ঠান অন্যের নিকট দায়বদ্ধ হয় আর প্রদত্ত ঋণ বা বিনিয়োগের ফলে প্রতিষ্ঠানের মুনাফা অর্জনের উদ্যেশ্যে অর্থ অন্যের নিকট লাগানো হয় বা রাখা হয় ফলে সম্পদ বেড়ে যায়।



বন্ধকী ঋণ কি বা কাকে বলেঃ

বন্ধকি ঋণ বা বন্ধকী ঋণ বলতে কোনো দ্রব্য বা বস্তু বা সম্পদ এর বিপরীতে ঋণ করা কে বোঝানো হয়ে থাকে। শুধু বন্ধকী ঋণ বলতে কোন কিছু বন্ধক বা গচ্ছিত রাখার বিনিময়ে ঋণ বা অর্থ গ্রহণ করাকে বোঝানো হয়ে থাকে। অপর দিকে যদি কোথাও বন্ধকী ঋণের সুদ প্রাপ্তি লেখা থাকে তবে ধরে নিতে হবে কিছু বন্ধক নিয়ে ঋণ প্রদান করা হয়েছিল যা থেকে সুদ বা লাভ পাওয়া গেছে। উদাহরণ হিসেবে বলতে গেলে, একটি জমি ব্যংকের নিকট বন্ধক রেখে ৫০০০০/- টাকা ঋণ গ্রহণ করা হলো। এখানে এই ঋণ টি এক ধরণের বন্ধকী ঋণ। এখানে আমাদের নিকট এই ৫০০০০/- টাকার ঋণ, বন্ধকী ঋণ বা গৃহীত বন্ধকী ঋণ হলেও ব্যাংকের নিকট এটি বন্ধকী বিনিয়োগ বা বিনিয়োগ বা প্রদত্ত বন্ধকী ঋণ।



প্রাপ্ত ঋণ ও প্রদত্ত ঋণ রেওয়ামিলে অন্তর্ভূক্তির নিয়মঃ

প্রাপ্ত ঋণ বা গৃহীত ঋণ বা ঋণ প্রতিষ্ঠানের এক ধরণের দায়। ঋণ গ্রহণ করার ফলে প্রতিষ্ঠানের দায় বেড়ে যায় বা বৃদ্ধি পায়। আমরা জানি দায় বাড়লে বা দায় বৃদ্ধি পেলে ক্রেডিট হিসাব হয়। সুতারং প্রাপ্ত ঋণ বা গৃহীত ঋণ বা ঋণ হিসাব এর খতিয়ান উদৃত্ত সর্বদা ক্রেডিট হয়। যেহেতু প্রাপ্ত ঋণ বা গৃহীত ঋণ বা ঋণ হিসাব এর খতিয়ানের উদৃত্ত সর্বদা ক্রেডিট হয়, তাই প্রাপ্ত ঋণ বা গৃহীত ঋণ বা ঋণ রেওয়ামিলের ক্রেডিট পাশে লিপিবদ্ধ বা অন্তর্ভূত হয়।



প্রদত্ত ঋণ বা বিনিয়োগ রেওয়ামিলে অন্তর্ভূক্তির নিয়মঃ

প্রদত্ত ঋণ বা বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানের এক ধরণের সম্পদ। ঋণ প্রদান বা বিনিয়োগ করার ফলে প্রতিষ্ঠানের সম্পদ বেড়ে যায় বা বৃদ্ধি পায়। আমরা জানি সম্পদ বাড়লে বা সম্পদ বৃদ্ধি পেলে ডেবিট হিসাব হয়ে থাকে। সুতারং প্রদত্ত ঋণ বা বিনিয়োগ হিসাব এর খতিয়ান উদৃত্ত সর্বদা ডেবিট হয়। যেহেতু প্রদত্ত ঋণ বা বিনিয়োগ হিসাব এর খতিয়ানের উদৃত্ত সর্বদা ডেবিট হয়, তাই প্রদত্ত ঋণ বা বিনিয়োগ হিসাব রেওয়ামিলের ডেবিট পাশে লিপিবদ্ধ হয়।



প্রাপ্ত ঋণ ও প্রদত্ত ঋণ আর্থিক বিবরণীতে লিপিবদ্ধ করার নিয়মঃ

প্রাপ্ত ঋণ যেহেতু এক ধরনের দায় তাই প্রাপ্ত ঋণ আর্থিক বিবরণির দায়ের পাশে সল্প মেয়াদী দায় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। অপর দিকে প্রদত্ত ঋণ বা বিনিয়োগ যেহেতু এক ধরনের সম্পদ তাই আর্থিক বিবরণীর সম্পদের পাশে চলতি সম্পদ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।



লেনদেনের ভিত্তিতে প্রাপ্ত ঋণ ও প্রদত্ত ঋণ বা বিনিয়োগ এর জাবেদাঃ

নিম্নে উদাহরণের সাহায্যে আধুনিক পদ্ধতিতে ঋণ সম্বলিত কিছু লেনদেনের কারোন সহ জাবেদা দেখানো হলো-

  • ১. ব্যাংক থেকে ৫০০ টাকার ঋণ গ্রহণ করা হলো।

নগদান হিসাব--ডে.--৫০০/-

ব্যাংক ঋণ হিসাব --ক্রে.--৫০০/-

(এখানে ৫০০ টাকার ঋণ গ্রহণের ফলে প্রতিষ্ঠানের নগদ অর্থ বা সম্পদ বেড়ে যায় এবং সম্পদ বেড়ে গেলে ডেবিট হয় তাই নগদান হিসাব ডেবিট অপর দিকে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের ফলে প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের নিকট দায়বদ্ধ হয়ে পড়ে এবং দায় বেড়ে গেলে ক্রেডিট হয় বলে ব্যাংক ঋণ হিসাব ক্রেডিট করা হয়েছে)


  • ২. রোদেলা কে ৫০০/- টাকার ঋণ প্রদান করা হলো।

বিনিয়োগ হিসাব (রোদেলা) --ডে.--৫০০/-

নগদান হিসাব ---ক্রে.----৫০০/-

(এখানে রোদেলা কে ৫০০ টাকার ঋণ প্রদানের ফলে প্রতিষ্ঠানের নগদ অর্থ বা সম্পদ কমে যায় এবং সম্পদ কমে গেলে ক্রেডিট হয় তাই নগদান হিসাব ক্রেডিট অপর দিকে ঋণ প্রদান কে বিনিয়োগ বলা হয়ে থাকে এবং বিনিয়োগ করলে নিজের টাক অন্যের কাছে গচ্ছিত রয়েছে যা ফেরত পাওয়া যাবে ধরা হয় ফলে সম্পদ বাড়ে তাই এখানে ঋণ না লিখে বিনিয়োগ লেখা হয়েছে ও বিনিয়োগ হিসাবে সম্পদ বেড়ে যাওয়ায় বিনিয়োগ হিসাব ডেবিট করা হয়েছে)


  • ৩. ঋণের সুদ প্রাপ্তি ৫০০/- টাকা।

নগদান হিসাব --ডে.--৫০০/-

বিনিয়োগের সুদ হিসাব--ক্রে.---৫০০/-

(এখানে ঋণের সুদ পাওয়া গেছে তার মানে টাকা লাগানো হয়েছিল বা ঋণ প্রদান করা হয়েছিল অর্থাৎ বিনিয়োগ করা হয়েছিল বলেই ঋণের সুদ পাওয়া গেছে যা এক ধরণের আয়, আয় বেড়ে গেলে ক্রেডিট হিসাব হয় বলে বিনিয়োগের সুদ হিসাব ক্রেডিট করা হয়েছে। অপর দিকে সুদ নগদে পাওয়ার ফলে প্রতিষ্ঠানের নগদ অর্থ বা সম্পদ বেড়ে যায়, সম্পদ বেড়ে গেলে ডেবিট হিসাব হয় বলে এখানে নগদান হিসাব ডেবিট করা হয়েছে)


  • ৪. বিনিয়োগ বা প্রদত্ত ঋণের সুদ পাওয়া গেল ৫০০/- টাকা। 

নগদান হিসাব--ডেবিট-- ৫০০/-

বিনিয়োগের সুদ হিসাব-- ক্রেডিট--৫০০/-

(এখানে প্রদত্ত ঋণ বা বিনিয়োগ করে সুদ পাওয়া যায় ফলে প্রতিষ্ঠানের আয় বেড়ে যায় তাই বিনিয়োগের সুদ কে আয় বৃদ্ধি ধরে ক্রেডিট করা হয়েছে, অপর দিকে বিনিয়োগের সুদের টাকা নগদে পাওয়া যায় ফলে প্রতিষ্ঠানের নগদ সম্পদ বেড়ে যায় আর সম্পদ বেড়ে গেলে ডেবিট হয় বলে নগদান হিসাব ডেবিট করা হয়েছে)


  • ৫. চেক মারফাত প্রদত্ত ঋণের সুদ আদায় ৫০০/- টাকা। 

ব্যাংক হিসাব--ডেবিট-- ৫০০/-

বিনিয়োগের সুদ হিসাব-- ক্রেডিট--৫০০/-

(এখানে প্রদত্ত ঋণ বা বিনিয়োগ করে সুদ পাওয়া যায় ফলে প্রতিষ্ঠানের আয় বেড়ে যায় তাই বিনিয়োগের সুদ কে আয় বৃদ্ধি ধরে ক্রেডিট করা হয়েছে, অপর দিকে বিনিয়োগের সুদের টাকা চেক মারফাত পাওয়া যায় ফলে প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকে সম্পদ বেড়ে যায় আর সম্পদ বেড়ে গেলে ডেবিট হয় বলে ব্যাংক হিসাব ডেবিট করা হয়েছে)


  • ৬. প্রদত্ত ঋণে বা বিনিয়োগের সুদ ধরা হলো ৫০০/- টাকা। 

বিনিয়োগ হিসাব--ডেবিট-- ৫০০/-

বিনিয়োগের সুদ হিসাব-- ক্রেডিট--৫০০/-

(এখানে প্রদত্ত ঋণ বা বিনিয়োগ করে কত সুদ পাওয়া যাবে সেটা ধরা হয়েছে কিন্তু সুদের টাকা এখনো হাতে পাওয়া যায় নাই অর্থাৎ সুদের টাকা বিনিয়োগ এর সাথে মিশে রয়েছে ফলে প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ বাবদ সম্পদ বেড়ে যায় তাই বিনিয়োগ কে  কে সম্পদ বৃদ্ধি ধরে ডেবিট করা হয়েছে, অপর দিকে বিনিয়োগের সুদের টাকা এখনো পাওয়া না গেলেও এর ফলে প্রতিষ্ঠানের এক ধরনের আয় হয়েছে ফলে প্রতিষ্ঠানের আয় বেড়ে গেছে, যেহেতু আয় বেড়ে গেলে ক্রেডিট হয় তাই বিনিয়োগের সুদ হিসাব ক্রেডিট করা হয়েছে)


  • ৭. প্রদত্ত ঋণ বা বিনিয়োগের প্রাপ্য সুদ ৫০০/- টাকা। 

বিনিয়োগ হিসাব--ডেবিট-- ৫০০/-

বিনিয়োগের সুদ হিসাব-- ক্রেডিট--৫০০/-

(এখানে প্রদত্ত ঋণ বা বিনিয়োগ এর প্রাপ্য সুদ বলতে বিনিয়োগের সুদ ধরা হয়েছে কিন্তু এখনো হাতে পাওয়া যায় নি এমন বোঝাচ্ছে। প্রাপ্য না থেকে প্রাপ্ত লেখা থাকলে হাতে পাওয়া গেছে ধরা যেত। বিনিয়োগ করে কত সুদ পাওয়া যাবে সেটা ধরা হয়েছে কিন্তু সুদের টাকা এখনো হাতে পাওয়া যায় নাই অর্থাৎ সুদের টাকা বিনিয়োগ এর সাথে মিশে রয়েছে ফলে প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ বাবদ সম্পদ বেড়ে যায় তাই বিনিয়োগ কে কে সম্পদ বৃদ্ধি ধরে এক্ষেত্রে ডেবিট করা হয়েছে, অপর দিকে বিনিয়োগের সুদের টাকা এখনো পাওয়া না গেলেও এর ফলে প্রতিষ্ঠানের আয় বেড়ে গেছে, আয় বেড়ে গেলে ক্রেডিট হয় তাই বিনিয়োগের সুদ হিসাব ক্রেডিট হয়েছে)


  • ৮. ঋণের সুদ ধরা হলো ৫০০/- টাকা।

ঋণের সুদ হিসাব--ডেবিট--৫০০/-

বকেয়া ঋণের সুদ হিসাব--ক্রেডিট---৫০০/-

(এখানে ঋণ বলতে প্রাপ্ত বা নেওয়া হয়েছে এমন ঋণ কে বোঝানো হয় ফলে ঋণের সুদ এক্ষেত্রে আমাদের প্রদান করতে হবে। এখানে ঋণের সুদ প্রদান করার কথা থাকলেও এখনো পর্যন্ত প্রদান করা হয়নি শুধু মাত্র হিসেব করে ধরা হয়েছে ফলে অন্যের প্রাপ্ত টাকা এখনো আমাদের নিকট রয়ে গেছে যা আমাদের এক ধরণের দায়, দায় বেড়ে গেলে ক্রেডিট হয় বলে বকেয়া ঋণের সুদ ক্রেডিট করা হয়েছে এবং ঋণের সুদ ধরার ফলে প্রতিষ্ঠানের ব্যয় বা খরচ বেড়ে যায় বলে ঋণের সুদ কে ক্রেডিট করা হয়েছে)


  • ৯. ৫০০/- টাকা ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করা হলো।

নগদান হিসাব--ডেবিট--৫০০/-

বিবিধ ঋণ হিসাব--ক্রেডিট --৫০০/-

(এখানে ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করায় প্রতিষ্ঠানের দায় বেড়ে যায় ফলে বিবিধ ঋণ কে ক্রেডিট করা হয়েছে, এখানে কার কাছ থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে তার নাম না থাকায় বিবিধ ঋণ লেখা হয়েছে, অপর দিকে নগদ টাকা ঋণ হিসাবে নেওয়ায় প্রতিষ্ঠানে নগদ টাকা এসেছে ফলে নগদ সম্পদ বেড়ে গেছে তাই নগদান হিসাব কে ডেবিট করা হয়েছে)


  • ১০. ৫০০/- টাকা ব্যাংক ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করা হলো।

ব্যাংক হিসাব--ডেবিট-- ৫০০/-

ব্যাংক ঋণ হিসাব--ক্রেডিট--৫০০/-

(এখানে মূলধন সরূপ ব্যাংক ঋণ নেওয়ায় ব্যাংকের কাছে প্রতিষ্ঠানের দায় বেড়ে গেছে ফলে ব্যাংক ঋণ হিসাব ক্রেডিট করা হয়েছে, অপর দিকে ব্যাংক ঋণ নেওয়ায় ঋণের টাকা আমাদের ব্যাংকে যে হিসাব আছে যেখানে জমা রয়েছে ধরা হয়েছে যেখান থেকে ইচ্ছামতো উঠিয়ে ব্যবহার করতে পারবো, তাই ব্যাংকে আমাদের হিসাবে অর্থ বেড়ে গেছে ফলে সম্পদ বেড়ে গেছে তাই ব্যাংক হিসাব কে ডেবিট করা হয়েছে)


[বিঃদ্রঃ ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করা হলে, ঋণ যেহেতু এক ধরনের দায় তাই জাবেদা করার সময় মূলধন হিসাব ক্রেডিট না করে ঋণ হিসাব কে ক্রেডিট করতে হয়]



বুঝতে কোনো প্রকার সমস্যা হলে আশাকরি আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন।

নিচের বক্সে কমেন্ট করুন। আপনার প্রতিটি কমেন্ট আমাদের নিকট খুবি গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার কমেন্টের উত্তর আমরা যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব দিতে চেষ্টা করবো। আমাদের সাথেই থাকুন।
1timeschool.com
EmoticonEmoticon